কচু চাষ করে বেশি আয় করার চ্যালেঞ্জ মাসুমের
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, ৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক সময় বন জঙ্গলের ডোবা কিংবা পরিত্যাক্ত স্থানে ব্যাপক পানিকচু পাওয়া যেত। কিস্তু কালের বিবর্তন ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে এখন আর তা দেখা যায় না। কলাপাড়া উপজেলা লতাচাপলী ইউনিয়নের আজিম পুর গ্রামের মাসুম বিল্লাহ ফেইবুকে উদ্বুদ্ধ হয়ে ৫০ শতক জমিতে চাষ শুরু করেন, বারি পানিকচু-১ লতিরাজ । গত ৩ বছর ধরে তিনি এই কচু চাষ করে লাভবান না হলেও চেষ্টা চালিয়ে যান।
এই কৃষক জানান চলতি মৌসুমে ২০ হাজার টাকা খরচ করে ১ লক্ষ ২০ টাকা বিক্রি হবে। চলতি মৌসুমে লতি বিক্রি করেই তিনি আয় করেছেন ৭২ হাজার টাকা কচুতে প্রচুর ভিটামিন থাকায় সবজি হিসাবে বাজারে কচুর ব্যাপক চাহদিা রয়েছে। কচু চাষে আর্থিক ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। নেই তেমন পোকা ও রোগবালাই। তাই অনেক কৃষক এখন কচু চাষে অনেক আগ্রহী হয়ে উঠেছে। তার ক্ষেত এখন সবুজে সমাহার কচু চাষ করে তার সংসারে ফিরে এসেছে স্বচ্ছলতা এমটাই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: দুমকীতে সেতু যেনো মরন ফাঁদ
কচু চাষি মাসুম বিল্লাহ বলেন, ক্ষেতের কচু বিক্রির শেষ সময় থাকে অগ্রাহয়ণ মাস পর্যন্ত। কিন্ত এটা ভিন্নজাতের হওয়ায় দুইমাস পরে বাজারজাত করে বেশি মূল্যে বিক্রি করা সম্ভব এ বছর আবহাওয়া অনুকুল থাকায় ও সময় মত বৃষ্টি হওয়ায় আশানুরুপ কচুর চাষ ভাল হয়েছে। এ বছর তিনি কচু ও লতি বিক্রি করে ১লাখ ২০ টাকা আয় করবেন। এখন তার কোনো ধারদেনা নেই। সরকারি সহায়তা পরামর্শ পেয়ে তার কচু চাষ আরো আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন ৫ একর জায়গায় জমিতে ধান চাষ করে যা ইনকাম হয়, তা আমি এই ৫০ শতক জমি থেকে আয় করে দেখাবো এই চ্যালেন্জ নিয়েই আমি দিনরাত ক্ষেতে পরিশ্রম করে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, কচু সবজি স্বাস্থ্যর জন্য বেশ উপকারি ও পরিবেশ বান্ধব এবং ভিটামিন যুক্ত সবজি। কচু উৎপাদনে খরচ অনেক কম। রোগ বালাই কম। দামও ভাল পাওয়া যায়। এ উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের মাসুম বিল্লাহর ক্ষেতে আমরা নিয়মিত পরিদর্শন করছি তাকে সব বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছি কেউ কচু চাষে আগ্রহী হলে তাকেও আমরা সহায়তা করবো।
এমএল/