নাফনদীর ওপারে সকাল থেকে থেমে থেমে বিস্ফোণের বিকট শব্দ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:২৬ অপরাহ্ন, ১৭ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪


নাফনদীর ওপারে সকাল থেকে থেমে থেমে বিস্ফোণের বিকট শব্দ
ছবি: জনবাণী

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার পূর্ব ও দক্ষিণাংশের নাফনদীর ওপারে মিয়ানমার সীমান্তে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। যার প্রভাব এসেছে নাফনদীর এপারেও। 


শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭ টার পর থেকে শনিবার সকাল ৮ টা পর্যন্ত কোন বিস্ফোরণের শব্দ শুনা না গেলেও শনিবার সকাল ৮ টার পর থেকে বদলে গেছে তা। সকাল ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত টানা ২ ঘন্টা বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে সীমান্তের এপারও। এর পর থেকে কিছুক্ষণ পর পর থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনা যাচ্ছে। সর্বশেষ বেলা ১২ টা ৫০ মিনিটের দিকেও বিকট ২ টি শব্দ শুনা গেছে।


আরও পড়ুন: নাফনদী দিয়ে ২ রোহিঙ্গা নারীকে অনুপ্রবেশ করতে দেয়নি বিজিবি


টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপের পূর্বে মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে আসছে এমন বিস্ফোরণের শব্দ। শাহপরীরদ্বীপের একাধিক বাসিন্দার সাথে আলাপ করে এমন বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।


টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম জানান, নাফনদীর পূর্ব ও দক্ষিণাংশে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। যেসব স্থান থেকে গোলাগুলির আওয়াজ আসছে, সেখানে রাখাইন রাজ্যের মংডুর শহরের আশপাশের মেগিচং, কাদিরবিল, নুরুল্লাহপাড়া, মাংগালা, নল বন্ন্যা, ফাদংচা ও হাসুরাতা এলাকা অবস্থিত। এসব এলাকায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকি রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই চৌকি ঘীরেই চলছে এই সংঘর্ষ।


তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমারের মংডু শহরের আশপাশের প্রচুর গোলাগুলি শব্দ শোনা যায়। তবে রাতভর কোনো ধরনের শব্দ শোনা যায়নি। শনিবার সকাল থেকে কিছুক্ষণ পরপর বিকট শব্দে মাটি কেঁপে ওঠে। সেই সঙ্গে গোলাগুলির শব্দ কানে ভেসে আসে।


বিজিবির টেকনাফস্থ ২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, হঠাৎ টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় বিকট শব্দ ও গোলাগুলি খবর পেয়েছেন। সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কের পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: সমুদ্র শহরে লাখো পর্যটকের উচ্ছ্বাস


শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা নবী হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে মিয়ানমার সীমান্ত শান্ত ছিল। কিন্তু শনিবার সকালে বিকট শব্দে এপারের মাটি কেঁপে উঠেছে। এতে তাঁরা ভীত হয়ে পড়েছেন।


টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, এটি মিয়ানমারের সমস্যা। মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানোর হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরএক্স/