ক্ষোভ ও দুঃখ নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন


Janobani

বিনোদন প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:২০ অপরাহ্ন, ৩রা মার্চ ২০২৪


ক্ষোভ ও দুঃখ নিয়ে সমিতি থেকে বিদায় নিলেন ইলিয়াস কাঞ্চন
ইলিয়াস কাঞ্চন | ফাইল ছবি

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটি বিদায় নিচ্ছে। শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচন আগামী মাসেই অনুষ্ঠিত হবে। এই কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শনিবার (২ মার্চ) বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছিল। বিভিন্ন অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে বর্তমান কমিটির সদস্যরা এই বনভোজনে উপস্থিত ছিলেন।


এই আয়োজনে বেশ আক্ষেপ ঝরল বর্তমান কমিটির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের কণ্ঠে। ২০২২ সালে নির্বাচনে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছিলেন এই অভিনেতা। তবে বিগত দুই বছরে কম সমালোচনার মুখে পড়তে হয়নি শিল্পী সমিতির এই কমিটিকে।


আরও পড়ুন: এবার নিপুণের প্যানেলে শাকিব খান!


ইলিয়াস কাঞ্চন মনে করেন, কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের অসহযোগিতার কারণেই বিভিন্ন বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে। যে কারণে মনে কষ্ট রয়ে গেছে বরেণ্য এই অভিনেতার। 


ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর থেকেই সমিতির একটা পদ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা কত কিছিই করেছেন। কিন্তু শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের স্বার্থ তো আলাদা একটা জিনিস। এই বিষয়টাই কেউ কখনো বুঝতে চাইল না। আপনারা সবাই শিল্পীদের স্বার্থ কী ভাবে ভুলে যান? যেখানে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি, সেখানে আপনারা কাঞ্চনের পাশে দাঁড়ান না। এই দুঃখটা নিয়েই সমিতি থেকে বিদায় নিচ্ছি। আজকে আমাকে যদি অসম্মান করেন, তাহলে সেই অসম্মান কিন্তু আমার একার জন্য নয়। সেই অসম্মান সম্পূর্ণ শিল্পী সমাজের, চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির অসম্মান।’


আরও পড়ুন: ভুল-ক্রটির জন্য ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী নিপুণ


আগামী শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন কিনা এই তারকা। বিষয়টি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি না। তবে নির্বাচন না করলেও সমস্ত সময় সমিতি এবং শিল্পীদের পাশে থাকব। এই শিল্পী সমিতি আমাদের সবার সমিতি। আজকে আমি যা কিছুই পেয়েছি তার সব কিছুই একজন শিল্পী হিসেবেই অর্জন করেছি। আর এই ইন্ডাস্ট্রি থেকেই অর্জন করেছি। সুখে-দুঃখে যখনই প্রয়োজন হবে তখনই আমাকে পাবেন আপনারা।’


যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘কারো মিষ্টি কথা ও অর্থ দ্বারা কখনো প্ররোচিত হবেন না। টাকার লোভে পড়ে দুই বছরের জন্য নিজেদের সর্বনাশ করবেন না। নিজের বিবেককে প্রশ্ন করবেন, যাকে ভোট দেবেন তিনি কি আপনার এবং ইন্ডাস্ট্রির জন্য কাজ করবেন? শিল্পী সমিতি ও শিল্পীদের স্বার্থ যারা সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করবেন, তাদেরকেই বিবেচনা করবেন।’


এমএল/