বানিজ্যিক অঞ্চলের ঘোষনায় দিশেহারা কামরাঙ্গীরচরবাসী


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৫৩ অপরাহ্ন, ১১ই মার্চ ২০২৪


বানিজ্যিক অঞ্চলের ঘোষনায় দিশেহারা কামরাঙ্গীরচরবাসী
ছবি: জনবাণী

মোহাম্মদ সারোয়ার হোসেন: গত বছরের ১১ অক্টোবর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় এক অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, কামরাঙ্গীরচরে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল হবে। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ও ভবন মালিকদের মধ্যে শুরুতে মিশ্র প্রতিকৃয়া থাকলেও সিবিডি প্রকল্প নিয়ে সর্বাত্মক আলোচনা শুরুর পর এলাকাবাসী জানতে পারে পুরো এলাকার ২০ লাখ বাসিন্দাকে বাস্তুচ্যুত করে সেখানে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গনমাধ্যমে ডিএসসিসি'র আওতাধীন ৫৫, ৫৬ এবং ৫৭ নং ওয়ার্ডের মোট ১ হাজার ৪০০ একর নথিভূক্ত ভূমির মধ্যে ১ হাজার ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে ৫০তলা ভবন নির্মাণ করা হবে সেই সাথে ৮০ ফুট এবং ১০৪ ফুট প্রসস্থ সড়ক সংলগ্ন বহুতল ভবনের পরিকল্পনা নিয়ে তৈরী এনিমেশন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টির হয়েছে।


সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনের ডামাডোলের মধ্যে এই প্রকল্প নিয়ে কারো দুশ্চিন্তা না থাকলেও বর্তমানে সেখানকার প্রতিটি পাড়ামহল্লায় এই প্রকল্পের অধিগ্রহণ নিয়ে নানান গুন্জন শুরু হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ও ৫৬ বছর বয়সি ব্যবসায়ী মোঃ সিরাজুল ইসলাম পৈতৃক ভিটায় একটি কাপড়ের এমব্রয়ডারি কারখানা তৈরী করেছেন। এই ব্যবসার আয়ের অংশ দিয়ে তার পরিবারের যাবতীয় খরচ চলে। তার সাথে ছেলেরাও জড়িত এই ব্যবসায়। বাস্তুচ্যুত হওয়ার ঘটনায় পরিবার নিয়ে বিপাকে রয়েছেন তিনি। তার বক্তব্য, বানিজ্যিক অঞ্চল স্থাপন করতে গিয়ে দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ধ্বংশ করে দেওয়ার নাম-ইকি উন্নয়ন।


আরও পড়ুন: কামরাঙ্গীরচরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার


আরো বিপাকে রয়েছে রনি মার্কেট এলাকার ভবন মালিক ওমর ফারুকের। দূর্ঘটনায় প্রবাসফেরত এই ভবন মালিক জমানো পূঁজি ও লক্ষিপুরের বাপদাদার ভিটামাটি বিক্রি করে ১৫ বছর পূর্বে তিলেতিলে তৈরি করে ভবনটি। স্কুল ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ৪ সন্তানের জনক ৬ তলা ভবন নির্মাণ করতে ৬০ লক্ষ টাকা লোন নেয় ব্যাংক থেকে। বাড়ি ভাড়ার উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল এই ব্যক্তি ভূমি অধিগ্রহণের খবরে দিশেহারা। ওমর ফারুকের বক্তব্য হলো, সরকার রহিঙ্গাদের দের দেশে আশ্রয় দিয়ে নিজের দেশের জনগনকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনা কিভাবে নিতে পারে? সিটি কর্পোরেশন জনগনের মতামত না নিয়ে এই প্রকল্প হাতে নেয়ায় নিন্দা জানান তিনি।


এই এলাকায় অনুমেয় ২০ হাজারের বেশি ছোট বড় ভবন রয়েছে। মিশ্র ভূমি ব্যবহারের এই এলাকায় শত শত ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। যার সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত অর্ধকোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৫৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ নেতা জানান, সিটি কর্পোরেশনের এই কান্ডে বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে অত্র এলাকার আওয়ামী লীগের সমর্থক নেতা ও কর্মীদের। বানিজ্যিক অঞ্চলের ঘোষনায় জনগনের প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তৃণমূল নেতৃবৃন্দদের। নবনির্বাচিত এমপি এডভোকেট কামরুল ইসলাম এ বিষয়ে জনসম্মুখে এখনো মুখ না খোলায়, প্রকল্পের বিষয়ে এখনো ধোঁয়ার মধ্যে রয়েছেন তারা। ফলে প্রতিমুহূর্তে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন তারা। তার মতে, অত্র এলাকার বাসিন্দাদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য রাজনীতির সাথে জড়িত তারা। বাসিন্দারাই যদি না থাকে তাহলে তারা রাজনীতি করবেন কার স্বার্থে?


কামরাঙ্গীরচরে কী ধরনের প্রকল্প হবে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে নানা মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। তবে, কখন, কীভাবে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন হবে, তাঁরা এখন পর্যন্ত জানতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে সিটি করপোরেশন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কাছে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে, কামরাঙ্গীরচরে যাতে ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া না হয়। সিটি করপোরেশনের চিঠি পেয়ে রাজউক এখন আর কামরাঙ্গীরচরে ভবন নির্মাণের অনুমতি দিচ্ছে না বলে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।


রাজধানীতে পরিকল্পিত নগরায়ণের উদ্দেশ্যে ঢাকা ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়ন করছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এ পরিকল্পনায় রয়েছে আবাসিক-বাণিজ্যিক, বিনোদন ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার ব্যবস্থা। তবে ড্যাপের আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি বাণিজ্যিক হাব গড়ে তোলার মাস্টারপ্ল্যান হাতে নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। যেখানে পরিকল্পিত নগরায়ণের লক্ষ্য নিয়ে ড্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে, সেখানে বাণিজ্যিক হাব নির্মাণ সে লক্ষ্য বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে আশঙ্কা করছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। অন্যদিকে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেবা সংস্থা হিসেবে এ ধরনের বাণিজ্যিক হাব গঠনের কাজ করতে পারে না ডিএসসিসি। যদিও করপোরেশনের দাবি, আইন মেনেই সব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।


ঢাকার আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার সীমা নির্ধারণ, অবকাঠামো উন্নয়নের বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গঠিত হয় রাজউক। এ সংস্থার পরিকল্পনা অনুযায়ী নাগরিক সেবা প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের। ড্যাপে ডিএসসিসির কামরাঙ্গীরচর এলাকাটিকে আবাসিক প্রধান রেখে মিশ্র হিসেবে ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। যদিও সেখানে বাণিজ্যিক হাব করার ঘোষণা দিয়েছেন ডিএসসিসির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। এরই মধ্যে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সামগ্রিক পরিকল্পনার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। নগরবিদরা বলছেন, ড্যাপ নির্ধারিত স্থানে বাণিজ্যিক হাবের পরিকল্পনা সিটি করপোরেশনের কাজ নয়। সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী কোনো ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম করা কিংবা কোনো এলাকাকে বাণিজ্যিক হাব ঘোষণার এখতিয়ারও ডিএসসিসির নেই। তবে ডিএসসিসির দাবি, আইন মেনেই এ পরিকল্পনার কাজ শুরু হয়েছে।


ড্যাপ অনুযায়ী, এলাকাটি বাণিজ্যিক ও আবাসিক দুইভাবেই ব্যবহার করা যাবে। তবে আবাসিক এলাকাকে প্রাধান্য দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এলাকাটি বাণিজ্যিক হিসেবে ব্যবহার করতে হলে রাস্তাগুলো ৮০ ফুটের বেশি হতে হবে। আবাসিকের ক্ষেত্রে ৬০ ফুট হওয়ার কথা বলা আছে।


ড্যাপে আরো বলা আছে, কামরাঙ্গীরচরের তিন ওয়ার্ডে যথাক্রমে ৬৫৪, ৩৫০ ও ২৪০ একর ভূমি রয়েছে। এর ৫০ শতাংশ বসবাসের জন্য আর বাকিটুকু রাস্তাঘাট ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করার জন্য ব্যবহার করা যাবে। প্রতি একরে ২০০ জন এবং প্রতি কাঠায় গড়ে দুজন মানুষ বসবাস করতে পারবে।


ডিএসসিসির নগর পরিকল্পনা বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, জনভারে নুয়ে পড়া ঢাকাকে বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তুলতে মেয়র তাপস ৩০ বছর মেয়াদি ডিটেইল্ড এরিয়া মাস্টারপ্ল্যান করছেন। আগামী ২০৫০ সালে উন্নত বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকাকে গড়ে তোলার জন্যই এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি আন্তর্জাতিক মানের বাণিজ্যিক হাব গড়ে তোলা হবে। প্রাথমিক ঘোষণা অনুযায়ী সেখানে ৫০ তলাবিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ হবে। মূলত এ ভবনটিকে দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছে ডিএসসিসি।


কামরাঙ্গীরচরসহ ঢাকা দক্ষিণের পুরো এরিয়া নিয়ে মাস্টারপ্ল্যানের কার্যক্রম শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক ও ডিএসসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল। তিনি গনমাধ্যমকে বলেন, নগর উন্নয়নে রাজউকসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার মাস্টারপ্ল্যানকে সামনে রেখে সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘ এ তিন মেয়াদে কার্যক্রম চলবে। সিটি করপোরেশনের পরামর্শক ও গবেষকরা কাজ করছেন। চলতি বছরের শেষের দিকে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা হাতে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। 


সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ গনমাধ্যমকে বলেন, পৃথিবীর প্রতিটি উন্নত শহরেই বাণিজ্যিক হাব রয়েছে। ঢাকার মতিঝিল এখন পুরনো জৌলুস হারিয়ে ফেলেছে। আবার চকবাজার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। সে বিবেচনায় কামরাঙ্গীরচরকে বাছাই করা হয়েছে। এখানে কততলা ভবন নির্মাণ করা হবে সেটা পরের বিষয়। মূল কথা হলো নগরীর ব্যবসা-বাণিজ্য ও আন্তর্জাতিক অফিস-আদালতের জন্য কামরাঙ্গীরচর ঘিরে আমরা পরিকল্পনা শুরু করেছি। ড্যাপের সঙ্গে আমাদের পরিকল্পনার কোনো বিরোধ নেই, ভবিষ্যতেও হবে না।


একই কথা বলেছেন, ড্যাপের প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ড্যাপের পরিকল্পনার বাইরে যাওয়ার সুযোগ সিটি করপোরেশনের নেই। এখন পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের মহাপরিকল্পনা ড্যাপের সঙ্গে সাংঘর্ষিকও নয়।


আরও পড়ুন: কামরাঙ্গীরচরে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী আটক


এদিকে ডিএসসিসি'র কেন্দ্রীয় বানিজ্যিক অঞ্চল (সিবিডি) এবং (আইসিসি) প্রকল্পের বিরোধিতায় ১০ মার্চ (রবিবার) বিকেলে এলাকাটির হাসপাতাল মাঠে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে ব্যবসায়ী, ভবন মালিক, স্থানীয় বাসিন্দা। কামরাঙ্গীরচর জন্মভূমি রক্ষা কমিটির ব্যনারে এই সমাবেশে অংশগ্রহন করে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, সমাজ সেবক ও সরকার দলীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এসময় ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, একটি অসাধু চক্র নিজেদের আখের গোছানোর উদ্দেশ্যে ডিএসসিসি'র মেয়র ও সরকারে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পায়তারা করছে। বানিজ্যিক অঞ্চলের নামে ২০ লক্ষ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করার প্রকল্প সরকার কোনদিন নিতে পারেন না। তিনি আরো বলেন, কামরাঙ্গীরচর উন্নয়নের নামে বিলিন হয়ে যাবে, আমাদের মাতৃভূমি ছেড়ে দিতে হবে, এই ধরনের পরিস্থিতি এখনো সৃষ্টি হয়নি। উন্নয়ন ও সচেতনতার সর্বশ্রেষ্ঠ যুগে এসে আমার মা কামরাঙ্গীরচরের স্বাধীন হরন হবে এটা আমরা কিভাবে মেনে নিবো?


এতে উপস্থিত কামরাঙ্গীরচরবাসীরা বলেন, আমাদের বসবাসের উপযোগী এলাকা গড়ে তুলতে প্রসস্থ সড়ক, ব্রীজ এবং রাস্তাঘাটের উন্নয়ন চাই। কিন্তু যে উন্নয়ন আমরা ভোগ করতে পারবো না সে উন্নয়নের আমাদের প্রয়োজন নেই। আমাদের দীর্ঘদিনের দাবী খোলামোড়া ব্রীজের। সেই দাবী পূরণ না করে আমাদের উচ্ছেদের পরিকল্পনা শরীরের শেষ রক্ত টুকু থাকা পর্যন্ত পূরণ হতে দিবো না।


গত ১১ অক্টোবর কামরাঙ্গীরচরের লোহার ব্রিজ থেকে নিজামবাগ বেড়িবাঁধ পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কামরুল সরণির নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছিলেন, ‘তুলনামূলক পিছিয়ে পড়া এলাকা রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পাঁচ তারকা হোটেল বানানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, ওই এলাকায় পরিকল্পিত আবাসন, কনভেনশন হল, ৫০ তলাবিশিষ্ট নান্দনিক ভবনসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। বুড়িগঙ্গা নদীর তীর হয়ে চার সারির সড়ক নির্মাণ করা হবে। এভাবেই কামরাঙ্গীরচরকে একটি আধুনিক নগরীতে পরিণত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।


আরএক্স/