শহরের শিশুরা অনিরাপদ জীবন যাপন করছে: দীপু মনি

শিশুরা অনিরাপদ পেশায় বা অনিরাপদ জীবন যাপন করছে, এগুলো অধিকাংশ ঘটে শহরে
বিজ্ঞাপন
শিশুরা অনিরাপদ পেশায় বা অনিরাপদ জীবন যাপন করছে, এগুলো অধিকাংশ ঘটে শহরে, গ্রামে ঘটে না। এ ধরনের সমস্যা শহরকেন্দ্রিক বলে জানান সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, তাই শহরে শিশু সুরক্ষায় অধিক গুরুত্ব দিয়ে শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীদের কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরে সিএসপিবি প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও নতুন শিশু সুরক্ষা সমাজকর্মীদের প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, শিশুদের সুরক্ষায় সরকার কাজ করছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যতটি প্রোগ্রাম আছে, তার অধিকাংশই শিশুদের নিয়ে। শিশু পরিবার, মূক ও বধির বিদ্যালয়, শেখ রাসেল শিশু পুনর্বাসন কেন্দ্রসহ অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই শিশুদের নিয়ে কাজ করছে।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওআইসি প্রতিনিধি এমা ব্রিগাম, ইউনিসেফ বাংলাদেশের শিশু সুরক্ষা প্রধান নাতালি ম্যাককলি ও সিএসপিবি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সারোয়ার হোসেন।
বিজ্ঞাপন
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, শিশু সুরক্ষায় সমাজকর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের কাজ কমিউনিটি ভিত্তিক হবে। কোনো শিশু অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে কি না, শারীরিক মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে কি না, তা শনাক্ত করা হবে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের শহরগুলোতে অনেক শিশু রাস্তায় বসবাস করে। অনিরাপদ পরিবেশে বসবাস করে। কাজেই এ সকল শিশুর সুরক্ষা, তাদের অধিকার সংরক্ষণ-এ বিষয়গুলোতে কাজ করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী দেশের শিশুদের বেড়ে ওঠার পরিবেশ ও সুরক্ষা নিয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, গ্রামে শিশুরা সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশে থাকে। সেই সমাজ কাঠামো শিশুর সুরক্ষায় একটা কবচ হিসেবে কাজ করে। শহরের ক্ষেত্রে তা ভিন্ন। এখানে নারীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে তার সঙ্গীর মাধ্যমে নির্যাতনের শিকার। নারীর সাথে সাথে তার শিশুও অনিরাপদ পরিবেশে বেড়ে ওঠে। গ্রামে যৌথ পরিবার কাঠামোটা নারীর সুরক্ষার রক্ষাকবচ তৈরি করে। এখানে শহুরে পরিবেশে তেমন কেউ এগিয়ে আসে না। গ্রামে শিশুদের শারীরিক মানসিক নির্যাতনের ঘটনা কম ঘটে।
বিজ্ঞাপন
এরপর মন্ত্রী প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রশিক্ষকদের হাতে সনদ তুলে দেন।
জেবি/এজে