বিশ্বজুড়ে টিকে থাকা বর্ণবৈষম্যের অবসান হোক


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বিশ্বজুড়ে টিকে থাকা বর্ণবৈষম্যের অবসান হোক

উনিশ শো ষাট সালের একুশ মার্চ দক্ষিণ আফ্রিকার শার্পভিলে রাষ্ট্রের বর্ণবাদী আইন পাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন অগণিত মানুষ। সেদিন উনসত্তর জন মানুষ নিহত হয়েছিলেন পুলিশের গুলিতে। তারপরে উনিশ শো ছেষট্টি সালে জাতিসংঘ একুশ মার্চ- কে আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সেটারও অর্ধশতাব্দী বছর পার হয়ে গেল। কিন্তু বিশ্ব থেকে এখনও বর্ণবৈষম্য দূর হয়নি। বরং কিছু সংখ্যক মানুষ রাজনৈতিক সংঘাতের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে এটাকে।তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ২১ মার্চে বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক বর্ণবৈষম্য বিলোপ দিবস পালন করা হয়। বর্ণবাদের মূলে রয়েছে একে অপরের প্রতি ঘৃণা ও অবিশ্বাস। যতদিন না এই ঘৃণা আর অবিশ্বাস সকলের মধ্য থেকে দূর না হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত আলোর ছায়া দেখা যাবে না। এখন সবার এটাই চাওয়া; যে বিশ্ব মানুষের জন্য, সে বিশ্বে মানুষের দ্বারা তৈরি হোক বর্ণবাদহীন মানবতার সমাজ ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন রাষ্ট্র ব্যবস্থা, যেখানে সকল মানুষ নিরাপদে, সুখে, শান্তিতে বাস করবে। বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সমস্যার মধ্যে একটি হচ্ছে বর্ণবাদ বা বর্ণবৈষম্য। কালো এবং সাদায় বৈষম্যমূলক আচরণ। বর্ণবৈষম্য এখন শুধু বর্ণেই (গায়ের রঙ) সীমাবদ্ধ নয়। এটি ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের আচার-আচরণ, সমাজ ব্যবস্থা, রাজনৈতিক ইস্যু, ধর্মীয় মনোভাব, গোত্রীয় প্রভাব, পদ পদবী ইত্যাদি জায়গায়। দিনেদিনে এই বর্ণ বৈষম্যের সূচক বেড়েই চলেছে। এই বৈষম্য একে অপরের প্রতি ঘৃণা আর হিংসাকে ত্বরান্বিত করে তুলছে। বর্তমান ইউক্রেন যুদ্ধেও বর্ণবৈষম্য দেখা দিয়েছে। গায়ের রঙ দেখে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ইউক্রেনের সেনা। এশিয়া এবং আফ্রিকার নাগরিকদের বেছে বেছে হেনস্তা করা হচ্ছে এমনকি বিপন্ন সীমান্তেও স্বর উঠছে বর্ণবৈষম্যের প্রতিবাদে। জাতিবৈষম্যের বিরোধিতা শোনা যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন তীব্র খেদ জানিয়েছে পরিস্থিতিতে। প্রতিষ্ঠানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একের পর এক প্রতিবেদন আসছে।ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলির ছাত্র-ছাত্রীরা বৈষম্যের শিকার। ইউক্রেনের সংঘাত ফের তুলে এনেছে বিশ্বজুড়ে টিকে থাকা বর্ণবৈষম্য এবং জাতিবিদ্বেষের গভীর ভেদরেখাকে। এই আচরণ অত্যন্ত উদ্বেগের। জাতিবিদ্বেষ এবং বর্ণবৈষম্যের ঘটনা নথিভুক্ত করার দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রসঙ্ঘের আধিকারিক টেন্ডাই আইকুমেও ইউক্রেনের সেনার ব্যবহারে ক্ষোভ জানিয়েছেন প্রকাশ্যে। অনেক অভিযোগ আসছে,বেছে বেছে নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের বৈষম্যের মুখে পড়তে হচ্ছে। বোমারোধী আশ্রয় থেকে নিজেদের দেশের দূতাবাসে যাওয়ার জন্য যানবাহনের ব্যবস্থা থাকছে এই দেশগুলির নাগরিকদের। এই আচরণ চলছে জাতিবিদ্বেষের কারণে। বিদ্বেষের জনিত হত্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে কাউকে কাউকে। আন্তর্জাতিক স্তরে কড়া সমালোচনার ফলে ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রী দিমায়েত্রো কুলেবা মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। ইউক্রেনের নাগরিক এবং সুরক্ষাবাহিনীকে উদ্দেশ্য করে তাঁর বার্তা, আফ্রিকানরা আমাদের বন্ধু। নিজের দেশে ফেরার জন্য তাঁদের সমান সুযোগ থাকতে হবে। এরপরই আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের জরুরি যোগাযোগের হটলাইন নম্বর টুইট করেন কুলেবা। দ্রুত সেই নম্বর ছড়িয়েও পড়ে। তবে পরের দিন থেকেই হটলাইন নম্বরটিতে যোগাযোগ করে কোনও সাড়া মিলছে না। সীমান্তের অভিজ্ঞতা বিবৃত করেছেন নাইজেরিয়ার এক ছাত্র সোমতো ওরাহ। ইউক্রেনের সীমান্ত রক্ষীরা ভারতীয় এবং আফ্রিকার নাগরিকদের আলাদা করছে। গায়ে রঙ দেখে আলাদা করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। তাদের দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। তীব্র ঠান্ডা আর প্রাণের ভয় সত্ত্বেও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্র-ছাত্রীরা। 

আন্তর্জাতিক পরিযায়ী সংগঠনের হিসাব অনুযায়ী ইউক্রেনে বিদেশিদের ৮০ হাজার সীমান্ত পার করেছেন। এই সংখ্যা সমানে বাড়ছে। অন্তত ১৩৮ দেশের নাগরিকরা বিভিন্ন কারণে ছিলেন ইউক্রেনে। সংঘাতের আবহে শঙ্কা তীব্র। এখন সবসময় আর কে কোন দেশ থেকে আসছে দেখা সম্ভব হচ্ছে না প্রশাসনের। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই জানাচ্ছেন যে সীমান্তে পৌঁছালেই বদলে যাচ্ছে ছবি। জোহানেসবার্গের নেলসন ম্যান্ডেলা ফাউন্ডেশন সরাসরি বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে। প্রতিষ্ঠানের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এশিয়া বা আফ্রিকার দেশগুলির ছাত্র-ছাত্রীরা বহু কষ্টে পোল্যান্ডের সীমান্তে পৌঁছালে তাদের রোমানিয়ার দিকে যেতে বলা হচ্ছে। গায়ের রং দেখে আলাদা ব্যবস্থা হচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ নিয়ে রাশিয়ার বিপক্ষে ভোট দেয়নি। তবে সংঘর্ষবিরতি এবং সামরিক অভিযানের বদলে কূনৈতিক বার্তালাপের পক্ষে অবস্থান জানিয়েছে। মার্কিন প্রস্তাব অনুযায়ী ভোটদানে বিরত থেকে। একাধিক দেশই ভারতের মতো অবস্থান নিয়েছে। ভারতের সেই অবস্থানই ছাত্র-ছাত্রী ওপর অত্যাচারের কারণ মনে করা হয়েছে। ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম যদিও ইউক্রেনের সেনার বীরত্ব বর্ণনায় ব্যস্ত রয়েছে। অন্য দেশগুলির ছাত্র-ছাত্রীদের অভিজ্ঞতা সামনে আসায় বর্ণবৈষম্যের অভিযোগ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে বাড়তি মাত্রা পেয়েছে।২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট পদে বরাক ওবামা নির্বাচিত হবার পর শেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের মধ্যে বর্ণবাদী মনোভাব কমতে শুরু করে। ২০০৯ সালে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, এনবিসি পরিচালিত এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, দেশটির ৭৯ শতাংশ শেতাঙ্গ, ৭৮ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ এবং ৬৪ শতাংশ হিসপানিক নাগরিক একই অভিমত দিয়েছে। সাত বছর পর পরিচালিত আরেক জরিপে দেখা গেছে, বর্ণবাদ নিয়ে আগের ভাবনা থেকে সরে গেছেন অনেকে। ২০১৫ সালে পরিচালিত এ জরিপ বলছে, বর্ণবাদ নিয়ে ইতোপূর্বকার ভাবনায় আছেন ৩৩ শতাংশ শেতাঙ্গ, ২৬ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ এবং ৩৩ শতাংশ হিসপানিক নাগরিক। 

এদিকে কালগ ফাউন্ডেশন ঘোষণা দিয়েছে যে, বর্ণবাদী বৈষম্য অবসানে পথ খুঁজে পেতে আলোচনার জন্য তারা অচিরেই ট্রুথ, রেসিয়াল হিলিং এবং ট্রান্সফরমেশন কমিশন গঠন করবে। ১৯৯৫ সালে সিবিএস পরিচালিত জরিপে বলা হয়েছে, শেতাঙ্গ নাগরিকদের মাত্র ১৫ শতাংশ বলেছে বিদ্যমান অপরাধ আইন একপেশে এবং কৃষ্ণাঙ্গ স্বার্থবিরোধী। এ অভিমত ৫১ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকের। বর্তমান যুগে বর্ণবাদ নিয়ে শেতাঙ্গ মার্কিনিদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ছে। দেশটির অনেক বেশি সংখ্যক শেতাঙ্গ নাগরিক এখন এই মত পোষণ করে যে, বর্ণবাদ অন্যতম জাতীয় সমস্যা। এ ধরনের মানসিকতা থেকে নাগরিকদের বিরত রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি। এক সময় বর্ণবাদ নিয়ে এই ভাবনা ছিল দেশটির কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিকদের মধ্যে। সাম্প্রতিক এক জনমত জরিপে নাগরিক ভাবনার এ তথ্য উঠে আসে।

বর্ণবাদ কি শুধুই সাদা-কালো? সমাজ গবেষকরা বলছেন, কেবল রঙ না, এটি প্রবল আর প্রান্তিকতার  বিষয়। আধিপত্য আর ক্ষমতার বিষয়। ব্রিটিশ থেকে শুরু করে যারাই এই দেশ জয় করেছে, তাদের গায়ের রং ফর্সা ছিল। রাজার রঙের প্রতি সমীহ, যাকে শক্তপোক্ত করেছে বিশ্ব পুঁজির সৌন্দর্যবাজার, সেও ইউরোপ কেন্দ্রিক।পশ্চিমা দেশে গায়ের রঙে বর্ণ চেনা গেলেও, বর্ণবাদ স্রেফ গায়ের রঙ ভিত্তিক না।শ্বেতাঙ্গ মানুষের দাস বাণিজ্য আর উপনিবেশিক ইতিহাস থেকে উঠে আসা শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের বিপরীতে সব জাতি, সব বর্ণ এবং সব ধর্মের মানুষ বর্ণবাদের স্বীকার। বর্ণবাদ তাই যতটা সাদা-কালো বলে মনে হয়, ততোটা সাদা কালোর বিষয় নয়। এটি প্রবল আর প্রান্তিকতার বিষয়, আধিপত্য আর ক্ষমতার বিষয়। উপনিবেশ শাসক চলে গেছে, কিন্তু রেখে গেছে তাদের বর্ণবাদ আমাদের মধ্যে, ফর্সা গায়ের রঙয়ের প্রতি আমাদের পক্ষপাতিত্বে। বর্ণবাদের শেকড় থাকে ওপরের প্রতি ঘৃণা আর নিজের অহমে। আমাদের মননেও বর্ণবাদ বাসা বেধে আছে দশকের পর দশক ধরে। 

সে কারণে সাদা চামড়ার ব্রিটিশদের আমরা সাহেব বলি। আমরা এই চিন্তা থেকে বের হতে পারিনি কারণ বের হতে হলে যে সব উদ্যোগ রাষ্ট্র বা নাগরিক সমাজের নেওয়ার কথা তা নেওয়া সম্ভব হয়নি। রাষ্ট্র যেমন পুঁজিবাদকে প্রাধান্য দেয় তেমনি পুঁজি সব সময় সাদাকে প্রাধান্য দেয়। আর আমরা নাগরিক সমাজ মুখে যতই বলি না কেন অন্তরে সাদার পুজারি।গায়ের রঙ নিয়ে অতিশয় ভাবনা, বিশেষ করে মেয়েদের তথাপি যেই সংস্কৃতিতে চামড়ার রঙের বিভাজন করা হয় পাঁচ ছয় ধাপে, যথা কুচকুচে কালো, কালো, শ্যামলা, উজ্জ্বল শ্যামলা, ফর্সা, ধবধবে ফর্সা সেই সংস্কৃতিকে বর্ণবাদ আখ্যায়িত করা কী ভুল হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে নারী অধিকার নেত্রী শিরিন হক বলেন, ‘গায়ের রঙ এক ধরনের বর্ণবাদ। যদিও তা কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের প্রতি শ্বেতাঙ্গদের বিদ্বেষের সঙ্গে তুলনা করা ঠিক হবে না। ঐতিহাসিকভাবে যা কিনা কেবল কৃষ্ণাঙ্গ মানুষের প্রতি বৈষম্য ও নানান অন্যায় আচরণের মধ্যে সীমিত থাকে নাই, প্রায়শই সহিংস রূপ নিয়েছে বর্ণবাদ বর্নবাদীদের সমস্যা।  এবং যেই সমাজ বর্ণবাদী তৈরী করে সেই সমাজের সমস্যা । এবং আজকের বিশ্বে, এমনটা সব সমাজেই হচ্ছে। এবং আমাদের অনেক সমাজ ও দেশে বর্ণবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। এটি মিশে গেছে, অনেকটা কাঠামোতে ঘুণে ধরার মতো। এবং এটি রয়ে গেছে, এবং এটি দুষিত ক্ষত, এবং এটি ছড়াচ্ছে কারণ দায়িত্বে থাকা অনেকে এমনটা হতে দিচ্ছেন। অন্যরা এর থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিচ্ছেন এবং এমন ভাব করছেন যেন সেখানে এটা নেই। কিন্তু (বাস্তবতা হলো) এটি ক্যান্সারের মতো, যদি উপেক্ষা করা হয়, বেড়ে যায়। আজ, আমরা সকল ধরনের বর্ণ বৈষম্যের অবসানে আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করছি।এবং আফ্রিকান বংশোদ্ভূত মানুষের দশক-এর মধ্যবর্তী পর্যালোচনা চলাকালীন সময়ে প্রচেষ্টাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমেরিকাতে এই পর্যালোচনার জন্য আমাদের ব্যক্তিগত দাসত্বের অন্ধকার ইতিহাস উপলব্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। 

৪০২ বছর আগে, আফ্রিকান দাসদের ভার্জিনিয়ার সমুদ্র উপকূলবর্তী উপনিবেশে জোর করে ধরে আনা হয়েছিল। দুই বছর আগে ১৬১৯ প্রকল্প-এর মাধ্যমে এই বার্ষিকীর স্মরণে সেই সময়কার ঘটনার বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছিল, এবং দাসত্বের পরিণতি, এবং কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের অবদান, আমাদের ইতিহাস ও আমাদের জাতীয় আখ্যানের কেন্দ্রে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। দাসত্ব আসলে আমেরিকার পাপ। এটি আমাদের প্রতিষ্ঠাকালীন নথি ও নীতিমালায় শেতাঙ্গদের শ্রেষ্ঠত্ব ও কৃষ্ণাঙ্গদের হীনমন্যতার বুনন।তবে দাসত্ব আমাদের আদি পাপ হলেও আমেরিকা দাসত্বের মূল উত্‌স নয়। অন্যরা আমাদের সাথে এই লজ্জার ভাগিদার। বিশ্বের প্রতিটি কোণে দাসত্বের অস্তিত্ব রয়েছে। আমেরিকান উপনিবেশবাদীদের অস্তিত্বের অনেক আগে থেকেই আফ্রিকানরা স্বদেশী আফ্রিকানদের দাস বানিয়ে রেখেছিল। এবং দুঃখের বিষয় হলো আজো বিশ্বজুড়ে অনেক স্থানে দাসত্বের অস্তিত্ব রয়েছে।দুই হাজার বিশ সালে আমেরিকায় বর্ণ বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন জর্জ ফ্লয়েড, ব্রেওনা টেইলরসহ আরো অনেক কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকান অনর্থক হত্যার শিকার হয়েছেন যা বিশ্বজুড়ে জাতিগত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছে: ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার। এবং যেহেতু ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার, তাই আমাদেরকে প্রতিটি ক্ষেত্রে শেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব-এর ধারণাকে ভেঙ্গে দিতে হবে। এর মানে হলো আমাদেরকে অন্যান্য ধরনের ঘৃণার বিষয়গুলোকেও মোকাবেলা করতে হবে।এফবিআই গত তিন বছরে হেইট ক্রাইম বাড়ার কথা জানিয়ে