সৈয়দ আশরাফের কবরে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
নিজস্ব প্রতিবেদক: সৈয়দ আশরাফের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।সোমবার আওয়ামী লীগের প্রয়াত এই নেতার তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও সৈয়দ আশরাফের বোন সৈয়দা জাকিয়া নূর, শাহজাদা মহিউদ্দিন, রাশেদুল মাহমুদ প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, “সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন অত্যন্ত সজ্জন, সৃজনশীল মানুষ ছিলেন। তার আচরণ, কথাবার্তা ছিলো পরিশিলীত। দুঃসময়ে তিনি ছিলেন অকুতোভয়।”
তিনি আরও বলেন, “একজন মানুষের মধ্যে যেসকল সভ্য আচার-আচরণ থাকে, সেগুলো সৈয়দ আশরাফের কাছ থেকে অনুকরণীয় ছিলো। জাতির অনেক ক্রান্তিলগ্নে সৈয়দ আশরাফের ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের সময় ২০০৭ সালে তত্ত্বাববধায়ক সরকারের সময় যখন দুই নেত্রীকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে যখন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিলো সেই সময়ে সৈয়দ আশরাফের ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”
সাবেক মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী ৩ জানুয়ারি। ২০১৯ সালের এ দিনে ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬৮ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।
সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্ম নেন। তার বাবা মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন আশরাফ। ১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৫ সালে তার বাবাসহ জাতীয় চার নেতার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর আশরাফ যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
১৯৯৬ সালে কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে প্রথমবার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ সালে দ্বিতীয়বার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে এলজিআরডি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালে তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।ৎ
২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ আশরাফ।