চকরিয়ায় একজনের পা কেটে হত্যা, অন্যজনের হাত কর্তন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২:০২ অপরাহ্ন, ৬ই এপ্রিল ২০২৪


চকরিয়ায় একজনের পা কেটে হত্যা, অন্যজনের হাত কর্তন
ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় দুই দুষ্কৃতিকারি দলের মধ্যে ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে’ হামলা চালিয়ে একজনের পা কেটে খুন করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনায় একজনের হাত কেটে নেওয়ার পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ হয়েছে অপর একজন।


শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রাত ১১ টার দিকে চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ফেরিঘাটের দক্ষিণে টুটিয়াখালী রাস্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন, চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।


ঘটনায় নিহত হয়েছে, চকরিয়ার বদরখালী ইউনিয়নের মগপাড়ার বাসিন্দা ফরিদুল ইসলাম ওরফে লম্বা ফরিদ ডাকাতের ছেলে ফজলে হাসান রিয়াদ (২৯)। হামলায় তার ডান পার গোড়ালি পর্যন্ত কেটে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা।


হামলায় মোহাম্মদ ছোটন ওরফে ছোটইন্না চোরা (৩০) নামের একজনের এক বাম হাতের কব্জি পর্যন্ত কেটে দেওয়া হয়। তিনি বদরখালী ইউনিয়নের আহমদ কবিরঘাটা এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে।


আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে স্পিডবোট ডুবি, ৩ শিশুসহ ১৯ যাত্রী উদ্ধার


এছাড়া ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে বদরখালী ইউনিয়নের মাতারবাড়ী পাড়ার মোহাম্মদ বারেকের ছেলে মো. জিদান।


পুলিশ জানিয়েছে, বিবাদমান দুইপক্ষের লোকজনই নানা অপরাধে অভিযুক্ত। দুইপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। হামলায় আহত ছোটন একটি হত্যা এবং রিয়াদ ডাকাতিসহ নানা অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে।


স্থানীয়দের বরাতে মোহাম্মদ আলী বলেন, বদরখালীতে স্থানীয় নজরুল ও বাহাদুরের লোকজনের সাথে রিয়াদ ও ছোটনের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে মাঝে মধ্যে চলতো হামলা ও পাল্টা হামলা।


 “ দুই বছর আগে দুইপক্ষের সংঘর্ষের একজন খুন হন। এতে রিয়াদ ও ছোটনসহ তাদের লোকজনের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ওই মামলায় ছোটনসহ তাদের পক্ষের অনেকে আসামি। এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের লোকজন ক্ষিপ্ত ছিল। ’’


ওসি বলেন, “ শুক্রবার রাতে পূর্ব বিরোধের জেরে বদরখালী বাজারে রিয়াদ, ছোটন ও জিহান সহ আরও কয়েকজন অবস্থান করছিল। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন প্রকাশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় তাদের উপর হামলে পড়ে। এক পর্যায়ে হামলাকারিরা ছোটনের এক হাত এবং রিয়াদের এক পা কেটে ফেলে। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে তাদের পক্ষের অপর একজন।’’ 


আরও পড়ুন: চরে খেলতে গিয়ে নদীতে ডুবে কিশোরের মৃত্যু


পরে হামলাকারিরা পালিয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।


আশংকাজনক দুইজনকে চমেক হাসপাতালে নেওয়া হলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসককে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান মোহাম্মদ আলী।


তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তারপরও ঘটনার কারণ জানার পাশাপাশি জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ তদন্ত করছে।


এমএল/