রাশিয়ার আদালতে মেটা মুখপাত্রকে ৬ বছরের কারাদণ্ড

সন্ত্রাসবাদকে ন্যায্যতা দেওয়ার অভিযোগে মেটার একজন মুখপাত্রকে দোষী সাব্যস্ত করেছে রাশিয়ার একটি আদালত। 

সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার স্বাধীন সংবাদ সাইট মিডিয়াজোনা।

খবরের প্রতিবেদনে বলা হয়, “তাকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আউটলেট অনুসারে, মেটা কমিউনিকেশন ডিরেক্টর অ্যান্ডি স্টোনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে মস্কোর পূর্ণমাত্রায় আক্রমণের পরে তার মন্তব্য থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। স্টোন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। স্টোন মেটার ‘ঘৃণাত্মক বক্তৃতা নীতিতে’ অস্থায়ী পরিবর্তন করেন। একইসঙ্গে রাশিয়ান নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার কোনও খবর মেটায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন তিনি।”

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক বন্ধে বিল পাস

রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটাকে ‘সন্ত্রাসী ও চরমপন্থী’ সংগঠন হিসাবে শ্রেণিবদ্ধ করার কয়েক সপ্তাহ পরে, এটি ব্যবহার করে রাশিয়ান বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধমূলক কার্যক্রমের পথ খুলে দিয়েছে।

মিডিয়াজোনা আরও জানায়, “স্টোনকে ওয়ান্টেড তালিকায় রাখা হয়েছিল। এই বছরের মার্চে, রাশিয়ার ফেডারেল তদন্ত কমিটি মেটার একটি অপরাধমূলক তদন্ত শুরু করেছে।  তাদের অভিযোগ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে মস্কোর সর্বাত্মক আক্রমণের পরে সংস্থার পদক্ষেপগুলো রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উস্কে দেওয়ার সমান। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং এক্স (পূর্বে টুইটার নামে পরিচিত)  তরুণ রাশিয়ানদের কাছে জনপ্রিয় ছিল ইউক্রেনের বিরুদ্ধে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ শুরু করার আগে। কিন্তু তারপর থেকে স্বাধীন মিডিয়া এবং অন্যান্য ধরনের সমালোচনামূলক বক্তৃতাগুলোর উপর একটি বিস্তৃত ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসেবে তারা এখন শুধুমাত্র VPN এর মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারেন।”

আরও পড়ুন: ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্টোনকে প্রাথমিকভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের আহ্বান এবং সর্বজনীনভাবে সন্ত্রাসবাদকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু প্রথম দুটি অভিযোগ অভিযুক্তের চূড়ান্ত সংস্করণে বাদ দেওয়া হয়েছিল।

স্টোনকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং আরও ৪ বছরের জন্য ওয়েবসাইটগুলো পরিচালনা করতে বাধা দেওয়া হয়েছে।

মেটা রায়ের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। গত ২০২২ সালের এপ্রিলে রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে মেটা সিইও মার্ক জাকারবার্গকে দেশে প্রবেশে বাধা দেয়।

 সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট

জেবি/এসবি