Logo

ইবি এলাকায় নদী সেচের মহোৎসব, মাছের বংশ ধ্বংস

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ০৪:০২
51Shares
ইবি এলাকায় নদী সেচের মহোৎসব, মাছের বংশ ধ্বংস
ছবি: সংগৃহীত

এমনিতেই নদীতে মাছ নেই, কোন রকম মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছি ।

বিজ্ঞাপন

কুষ্টিয়া ইবি থানা এলাকায়  সেচযন্ত্রের মাধ্যমে কালী  নদীর পানি সেচে মাছ নিধন করা হচ্ছে। নদীর পাড়ে মাটির বাঁধ দিয়ে পানি অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে নদীর ওই অংশের পানি প্রায় শুকিয়ে গেলেও প্রশাসন চোখে এখনো পড়েনি আর পড়লেও  এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সরেজমিনে  গিয়ে খোঁজ করে দেখা যায়, ইবি থানার পদ্মনগর এলাকা থেকে শুধু করে  হরিনারায়ণপুর এলাকায়  ১০  এপ্রিল থেকে  ৫ টি সেচযন্ত্র দিয়ে সেচকাজ করে মাছ ধরা  হয়েছে । এবং  নদীর ওই অংশ প্রায় শুকিয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন, এমনিতেই নদীতে মাছ নেই,  কোন রকম মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছি ।  এখন তো অনেক জেলে পেশা বদলে ফেলছে,  এখন এলাকার  অনেকেই  মাছ নিধনের জন্য সেচ দিয়ে পানি কমাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

পানি সেচায় কালী নদীর অনেক  অংশ প্রায় শুকিয়ে গেছে  মৎস্যজীবীরা আরও বলেন, শীতকালে নদীর পানি কমায় বেশির ভাগ মাছ গভীর পানিতে চলে আসে। নদীর এ জায়গাটিও বেশ গভীর। পাড়ে মাটির বাঁধ দিয়ে নদীর অনেক জায়গায় দুই ভাগে ভাগ করে ফেলা হয়েছে। সেচের মাধ্যমে পানি গভীর অংশ থেকে নালার মাধ্যমে অগভীর অংশে ফেলা হচ্ছে। এদিকে গভীর অংশের পানি কমে নদী পানিপ্রবাহের ধারা সরু হয়ে গেছে। নদীর পাড়ের কয়েকজন কৃষক বলেন, সেচের কারণে নদীর পানি কমে গেছে। প্রায় প্রতিবছরই এ ঘটনা ঘটছে। ফলে তাঁরা আর কৃষিকাজের জন্য পানি পান না। সেচের পানি না পেয়ে অনেকে কয়েক মাসের জন্য জমির পাশে অগভীর নলকূপ বসান। কিন্তু এর জন্য কয়েক হাজার টাকা খরচ হয়।

বিজ্ঞাপন

 এলাকার স্থানীয়রা  জানান, এক সময় এ অঞ্চলে অনেক মাছ পাওয়া যেতো। এভাবে রেনু আহরণ করতে গিয়ে মাছের অনেক প্রজাতি ধ্বংস হচ্ছে, এর ফলে নদীতে আর আগের মতো মাছ পাওয়া যায় না। প্রাকৃতিক উৎস হতে বেপরোয়াভাবে এই রেনু ধরা বন্ধ করার দরকার

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, উন্মুক্ত জলাশয়ে  নদীতে বাঁধ ও সেচ দিয়ে মাছ নিধন করা বেআইনি কাজ। এতে মাছের স্বাভাবিক বংশবিস্তার বাধাগ্রস্ত হয়। এ বিষয়ে আগেই জেলার সকল উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের বলা আছে। স্ব-স্ব উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ, এবং মৎস্য কর্মকর্তারা বিষয়টি তদারকি করেন। তারাই এ সব বন্ধে পদক্ষেপ নেবেন  এই বিষয়ে যদি সদর উপজেলা কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ থাকে তাহলে আমি তাদের বলব তারা যেন অবশ্যই  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।

জেবি/এসবি

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD