বাগেরহাটে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ৫

মারপিটে আরও ৭ জন আহত হন
বিজ্ঞাপন
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রতিবেশি বারেক হাওলাদারের ছেলে শহিদুল ইসলাম হাওলাদারকে প্রধান করে ২৪ জনকে এজাহার নামীয় আসামি করা হয়েছে এ মামলায়। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে নিহত কৃষক হাকিম জোমাদ্দারের ভাই হারুণ জোমাদ্দার বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে এ মামলার ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে বাগেরহাট কোর্টে সোপর্দ করেছে। এরা হচ্ছেন, আব্দুস সালাম ফকির, হাসান হাওলাদার, নাজমা বেগম, লাইজু বেগম ও জাহানারা বেগম। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোরেলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ সামসুদ্দীন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, শুক্রবার সকালে উপজেলার গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে আব্দুল হাকিম জোমাদ্দারকে (৬২) পিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিবেশি শহিদুল ইসলাম ও তার লোকজন। মারপিটে আরও ৭ জন আহত হন।
বিজ্ঞাপন
হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আশিকুর রহমান ও বাগেরহাট জেলা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বিজ্ঞাপন
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও এ হত্যা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দীন জানান, বারেক হাওলাদার ও হাকিম জোমাদ্দারের মধ্যে ৩.৪২ একর জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে ৪/৫ বছর ধরে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার বারেক হাওলাদারের ছেলে শহিদুল হাওলাদারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি বাহিনী হাকিম জোমাদ্দারের বসতঘরের সামনে থেকে বিবাদমান ওই জমির কিছু অংশে ঘেরাবেড়া দিয়ে দখল করে নেয়। ওই সময় দখলে বাধা দিলে হাকিম জোমাদ্দার ও তার লোকজনদের ওপর হামলা করে শহিদুলের বাহিনী। হামলায় গুরুতর জখমী দুই সন্তানের পিতা হাকিম জোমাদ্দার ঘটনাস্থলেই মারা যান।
বিজ্ঞাপন
ওসি আরো জানান, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় পুলিশ অবস্থান করছে। এ পর্যন্ত ৫ জন আসামি গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এমএল/