যে অভিজাত ক্লাবে তামিম বাদে নাম নেই কোনো বাংলাদেশি ক্রিকেটারের
ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৫ অপরাহ্ন, ৩০শে মে ২০২৪
সামনেই বসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। ইতোমধ্যে সব দলগুলো তাদের সকল প্রস্তুতি শেষ করে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে অংশ নিচ্ছে। তবে বসে নেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলও (আইসিসি)। টুর্নামেন্টের সময় যত ঘনিয়ে আসছে আইসিসিও তাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বকাপের আমেজে কোনো না কোনো কিছু নিয়ে মেতে উঠছে।
সম্প্রতি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি বিগত আটটি আসরের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহকদের একটি তালিকা করে পোস্ট করেছে। সেখানে বাংলাদেশের কেউ না থাকলেও আছেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের থিম সং প্রকাশ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মানেই চার-ছক্কার হৈ-হুল্লোড়। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো মাঠে গড়ায় টুর্নামেন্টটি। যেখানে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে ভারত। সে আসরে সর্বোচ্চ ২৬৫ রান সংগ্রহ করেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন। পরের আসরে ২০০৯ সালে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তালিকায় জায়গা করে নেন শ্রীলঙ্কার তিলকারত্নে দিলশান। তিনি করেন ৩১৭ রান। ইউনুস খানের নেতৃত্বে শিরোপা জিতে পাকিস্তান।
বিশ্বকাপের তৃতীয় আসর ২০১০ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপ হওয়ায় দুই বছরের জায়গায় এক বছর গ্যাপ দিয়ে সেই আসরটি মাঠে গড়ায়। যেখানে ৩০২ রান করে শ্রীলঙ্কা মাহেলা জয়াবর্ধনে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। যে আসরে পল কলিংউডের নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জিতে নেয় ইংল্যান্ড।
২০১২ সালে মাঠে গড়ায় টুর্নামেন্টের চতুর্থ আসরে। যেখানে ২৪৯ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার শেন ওয়াটসন। চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৪ সালে টুর্নামেন্টের পঞ্চম আসরের চ্যাম্পিয়ন হয় শ্রীলঙ্কা। যেখানে ভারতের বিরাট কোহলি ৩১৯ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। যেটি এখন পর্যন্ত যে কোনো আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহাক বানিয়েছে তাকে। ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসরে বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ২৯৫ রান করে হয়ে যান সেই আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। টুর্নামেন্টের ফাইনালে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বেন স্টোকসকে টানা চার ছক্কা হাঁকিয়ে ইংল্যান্ডের হাতে থাকা ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় শিরোপা পাইয়ে দেন ব্রেথওয়েট।
আরও পড়ুন: না থাকলেও আমি এই দলেরই একজন, বললেন মিরাজ
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সে আসরেই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে সেঞ্চুরির দেখা পান তামিম। ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ৬৩ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ১০৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরি।
এরপর তামিম ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে নেন। খেলেননি ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। ভারতে অনুষ্ঠিত ২০১৬ বিশ্বকাপই তার ক্যারিয়ারের সবশেষ কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে ১১ সেঞ্চুরি হয়েছে, সেখানে ব্যক্তিগত ইনিংসের হিসাবে সাতে রয়েছেন তামিম। বাংলাদেশের বাহাতি ব্যাটার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৩ ম্যাচে করেন ৫১৪ রান। গড় ও স্ট্রাইকরেট ২৪.৪৭ ও ১১৩.৪৬। ১ সেঞ্চুরির পাশাপাশি এক ফিফটি রয়েছে তার।
মাঝে ৪ বছর বিরতি দিয়ে ২০২১ সালে বিশ্বকাপের ৭ম আসর মাঠে গড়ায়। যেখানে পাকিস্তানের বাবর আজম ৩০৩ রান করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন। আর প্রথমবারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টটির অষ্টম আসর মাঠে গড়ায় ২০২২ সালে যেখানে পাকিস্তানকে হারিয়ে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলে ইংল্যান্ড। আসরে ২৯৬ রান করে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন বিরাট কোহলি।
জেবি/আজুবা