আরও একটা বিশ্বকাপ খেলতে চান সাকিব আল হাসান
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, ৩১শে মে ২০২৪
মাত্র দুজন ক্রিকেটারেরই এমন কীর্তি আছে- সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপপে খেলেছেন এই দুজন। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা আর বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরে মাঠে নামলে একটা জায়গায় বাকিদের চেয়ে আলাদা হয়ে যাবেন।
২০০৭ সাল থেকে শুরু করে ২০২৪, দীর্ঘ পথচলা এ ক্রিকেটারদের। এমনই কীর্তির সামনে দাঁড়িয়ে পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান জানালেন নিজের অনুভূতির কথা।
বিসিবির প্রকাশিত ‘গ্রিন এন্ড রেড স্টোরির’ সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছেন, আরও একটি বিশ্বকাপে খেলার কথা। ৩৭ বছর বয়সে এবারই হয়ত তার শেষ দেখছিলেন অনেকেই। আর সাকিবও তেমন ইঙ্গিত আগে দিয়েছিলেন। তবে এবার তাতে কিছুটা বদল এনেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আগে কপাল পুড়ল সাকিবের
এই তারকা অলরাউন্ডার বলেন, ‘যে সময় শুরু করেছি ক্রিকেট খেলাটা, (ভাবিনি) এতদিন ধরে খেলতে পারবো প্রথমত। দ্বিতীয়ত, প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এই বিশ্বকাপ পর্যন্ত যতগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলো, সবগুলোতেই অংশগ্রহণ করতে পারছি। আমার জন্য এটা গর্বের এবং বেশ আনন্দের বিষয়। একই সাথে যেহেতু দেশকে প্রতিনিধিত্ব করছি, অনেক বেশি ভালো লাগার একটা জায়গা আছে। ’
‘আমি আর রোহিত শর্মা হয়তো এই দুজন খেলোয়াড় যারা এই সবগুলো বিশ্বকাপে খেলতে পেরেছে। আশা করবো যে সামনে আরও একটা বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সটা যেন ভালো থাকে, বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যেকোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের থেকে ভালো ফল করে আসতে পারে। ’
২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি শুরু হয়েছিল ‘ফান ক্রিকেট’ হিসেবে। এখন খেলার এই ধরনটা ছড়িয়ে পড়েছে বেশ। আর সাকিব আল হাসানও পৃথীবিজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে বেড়িয়েছেন। সবমিলিয়ে চারশর বেশি টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছেন তিনি। কীভাবে বদলে যেতে দেখেছেন এই ফরম্যাটটাকে?
আরও পড়ুন: যে কারণে এবারের বিশ্বকাপেও সবার সেরা সাকিব
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘পরিবর্তনটা দেখি, আমার কাছে মনে হয় ওয়ানডে ক্রিকেটের এক্সটেন্ডেড ভার্শন এটা। হয়তো কার্টেল ওভার হলে যেটা হতো সেটাই হয়। অনেক বেশি রোমাঞ্চকর, দর্শকরা অনেক পছন্দ করে খেলাটাকে। আমি একটা জিনিসই শুধু ফিল করি, ব্যাট আর বলের সমান কম্পিটিশন যেন এখানে থাকে। যেকোনো এক তরফা যেন টুর্নামেন্টটা না হয়। সাধারণত বিশ্বকাপে সময় সেটা কখনোই হয় না। আমি মনে করি এবারও একই রকম হবে।’
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সাকিবের পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই বাস করেন নিউইয়র্কে। সাকিবের কাছে যুক্তরাষ্ট্র তাই আরেকটি ঠিকানা। তার ‘হোমে’ বাংলাদেশ বিশ্বকাপে কতটা সুবিধা পাবে? প্রশ্ন ছিল সাকিবের কাছে।
এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘এটা আমার সেকেন্ড হোম সেটা ঠিক আছে। হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে কি না বলাটা বেশ মুশকিল। কিন্তু আমার মনে হয় পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকায় দুইটা জায়গায়ই পাবে। এর আগে যখন আমরা ফ্লোরিডায় খেলেছি, ভালো করেছে। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজেও আমরা সবসময়ই ফেভার পাই। কারণ ওই দেশের পিচগুলো অনেকটা আমাদের দেশের মতোই হয়ে থাকে।’
এমএল/