প্রচন্ড গরমে কালীগঞ্জে বেড়েছে তালের শাঁসের চাহিদা
উপজেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:৩২ অপরাহ্ন, ৪ঠা জুন ২০২৪
প্রচন্ড গরমে কালীগঞ্জে বেড়েছে তালের শাঁসের চাহিদা। একটু স্বস্তি পেতে রাস্তার পাশে বিক্রি হওয়া রসালো এই ফলের স্বাদ নিচ্ছেন অনেকেই।
পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস। দাম কম হলেও তাজা ও ফরমালিনমুক্ত তালের শাঁস শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। গরমের দিনে তালের শাঁসে থাকা জলীয় অংশ পানিশূন্যতা দূর করে, চোখের দৃষ্টি শক্তি বাড়ার পাশাপাশি মুখের রুচি বাড়ায়। ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, বি ও সিসহ নানা ধরনের পুষ্টি চাহিদাও মিটছে তালের শাঁসে।
কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায়, স্কুল গেইট, কালীগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন মোড়ে প্রতিদিন কাঁচা তাল নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।
কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও এই মৌসুমী ফল বিক্রিতে মেতে উঠে, আর ক্রেতারা পায় নতুন স্বাদ, প্রতি পিস তালের শাঁস (কাঁচা তাল) বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
কালীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডের তালশাঁস বিক্রেতা সোহান মীর বলেন- দশ বছর ধরে এ সময়ে তালের শাঁস বিক্রি করি বড় তালের বিচি শাঁস বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। আবার ছোট তালের বিচির শাঁস বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়। প্রতিদিন ভালোই বিক্রি হচ্ছে। আমার লাভ হচ্ছে বেশ ভালো। ক্রেতারা মূল্যের দিকে না তাকিয়ে স্বাচ্ছন্দে কিনে নিচ্ছেন।
তালশাঁস বিক্রেতা পৌর এলাকার বাসিন্দা মোঃ রবি বলেন ৩০ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। প্রতি বছরই এ সময়ে তালের শাঁস বিক্রি করে সংসার চালাই। গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে তাল কিনে গাছ থেকে পেরে এনে শাঁস বিক্রি করেন।
তবে গাছে ওঠে, বাঁধা ধরে পাড়া সবচেয়ে কষ্টকর।আষাঢ় মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলবে তালের শাঁস বিক্রির কাজ। প্রতিদিন প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ পিস শাঁস বিক্রি করা যায়। একটি তাল ২০ থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি করছি (আকার অনুযায়ী)। এতে দিনে প্রায় ৭০০ থেকে ১হাজার টাকা লাভ হয়।
ক্রেতারা বলছেন, গত বছরের থেকে এবার তালের শাঁসের দাম অনেকটাই বেশি। সুস্বাদু ফল হওয়ায় এর প্রতি আগ্রহের কমতি নেই তাদের।
এসডি/