শৈলকুপায় হামলা, কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা আহতরা পুলিশ হেফাজতে
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, ৯ই জুন ২০২৪
ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার হামলাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষে কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা নিতে আসা আহতদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় ১২ জনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে ৪ জন গুলিবিদ্ধ।
এছাড়া গুরুত্বর আহত আবস্থায় গুলিবিদ্ধ একজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা।
আরও পড়ুনস: কুষ্টিয়ায় ৭ বিয়ে করা সেই রবিজুলের দুই স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার জন্য চাপ
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা হলেন, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার ধাওড়া গ্রামের, আব্দুল আজিজ (৬৩), আলী আকবর (১৭), জান্নাত হোসেন (২৬), মুহিম শিকদার (১৬), রাজিব (১৯), হারুন (৩৫), কুতুব উদ্দিন (২২), আ. ওহাব আলী (৫২), সাব্বির হোসেন (১৭), আলামিন (৩০), আকরাম হোসেন (৩৮) ও আব্দুস সালাম (৬৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলের দিকে একের পর এক আহত ব্যক্তিরা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আসতে থাকে। তারা সবাই আঘাত প্রাপ্ত ও রক্তাক্ত ছিল। ১৩ জনের মতো আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। কেউ জরুরি বিভাগে আবার কেউ ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল। এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ হাসপাতালে এসে তাদের ঘিরে রাখে। এদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনকে চিকিৎসক ঢাকায় পাঠায়।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার বলেন, গুরুত্বর আহত অবস্থায় ফিরোজ শিকদার নামে গুলিবিদ্ধ একজনকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে কতজন ভর্তি হয়েছেন এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বিএনপির নেতা কর্মীদের সাথে পুলিশের গোলাগুলি
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে শৈলকুপার ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী মোস্তাক সিকদারকে একটি মামলায় আটক করে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার সমর্থকরা বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এতে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্য ও কমপক্ষে ২০ জন হামলাকারী আহত হয়েছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, শৈলকুপা থানায় ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আহতদের কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের আটক করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু এটা অন্য জেলার ঘটনা সেহেতু আহতদের কেউ হামলার সাথে জড়িত থাকলে তা তদন্ত করে নির্দেশ পেলে তাদের আটক করা হবে।
এমএল/