নড়াইলে অপহরণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি

আড়পাড়া এলাকার মো. আবুকার শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার
বিজ্ঞাপন
নড়াইলে হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১২ জুন) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলমাচ হোসেন মৃধা এ রায় দেন। এ ছাড়াও মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল এলকার মৃত আবুল খায়ের মোল্যার ছেলে আনারুল মোল্যা, মরিচপাশা এলকার মৃত মোক্তার সর্দারের ছেলে জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া ও আড়পাড়া এলাকার মো. আবুকার শিকদারের ছেলে নাজমুল শিকদার।
বিজ্ঞাপন
রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জিনারুল ইসলাম ওরফে তারা মিয়া আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। তবে অনুপস্থিত ছিলেন মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি আনারুল মোল্যা ও নাজমুল শিকদার।
বিজ্ঞাপন
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ জুন সকাল ৭ টায় লোহাগড়া উপজেলার মাকড়াইল গ্রামের আব্দুস সালাম মোল্যার ছেলে পলাশ মোল্যা (২৫) কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় পার্শ্ববর্তী গ্রামের আনারুল মোল্যা, জিনারুল ইসলাম এবং মো.নাজমুল শিকদার। তারা ৪০ হাজার টাকায় ইজিবাইক কিনে দেবার প্রলোভন দেখিয়ে পলাশ মোল্যা কে অপহরন করে। পরে ২৬ জুন মাগুরা জেলার সদর থানার ধানখোলা গ্রামের জাহাঙ্গীর এর পাটক্ষেত থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার করে। ৮ জুলাই পলাশ মোল্যার পরিবার বিভিন্ন মাধ্যমে খবর পেয়ে এবং ছবি দেখে নিহতর লাশ শনাক্ত করে। এ ঘটনায় নিহত পলাশের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় অপহরন ও হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আদালত এই রায় প্রদান করেন। রাষ্ট্রপক্ষের পিপি এমদাদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, অপহরন ও হত্যা মামলায় আনারুল মোল্যা, নাজমুল শিকদার ও তারা মিয়াকে ৩০২ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা করা হয়। এবং প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। আবার ২০১ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ৭ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। ও ৩৬৪ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে ১০ (দশ) বছরেরর সশ্রম কারাদন্ড ও বিশ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন বিচারক।
এমএল/








