সাকিবের রানে ফেরার দিনে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫৯

গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ম্যাচের শুরুতে দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ। টাইগারদের জন্য প্রতিপক্ষ হলো বাতাসও। সাকিব আল হাসান এরপর জুটি বাধলেন ওপেনার ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে। পরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলি অনিক সঙ্গী হলেন তার। অফ ফর্ম নিয়ে বিভিন্ন কথা হওয়া সাকিব পেয়ে যান হাফ সেঞ্চুরি, দলও তাতে পেয়েছে ভালো সংগ্রহ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) আর্নেস ভ্যাল স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস। টস হেরে ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান করেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে তিন রান নেয় বাংলাদেশ। পরের ওভারেই নেদারল্যান্ডস বোলিংয়ে নিয়ে আসে আরিয়ান দাত্তকে। আগের ম্যাচের একাদশে একটি বদল এনে তাকে ঢুকিয়েছিল ডাচরা। তাদের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে স্রেফ দুই বল দরকার হয় আরিয়ানের।

যদিও তাতে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর দায়ই বেশি থেকে যায়। রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দেন টাইগার অধিনায়ক, ৩ বলে করেন মাত্র ১ রান। শান্তর বিদায়ের ওভারে আসে স্রেফ ২ রান। পরের ওভারে গিয়ে হাত খোলেন ওপেনার ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম। একটি ছক্কা ও দুটি চার হাঁকান এই ব্যাটার।

আরও পড়ুন: টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

কিন্তু পরের ওভারে আবার উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এবার আরিয়ানের বলে সুইপ করেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু অনেকটুকু দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে অসাধারণ এক ক্যাচ ধরেন অ্যাঙ্গলব্রেখ। এরপর দারুণ জুটিতে দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান ও তানজিদ হাসান তামিম।  

তারা দুজনই ছিলেন বেশ আক্রমণাত্মক মেঝাজে। এই ম্যাচের আগে অনেক কথা হয়েছিল সাকিব আল হাসানের অফ ফর্ম নিয়ে, রানে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। তাদের ৩২ বলে ৪৮ রানের জুটি ভাঙে পল ভ্যান মেকেরিনের বলে তানজিদ ফিরে গেলে। বাতাসের বিপক্ষে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ভাস ডি লিডের হাতে। ২৬ বলে পাঁচটি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন তানজিদ হাসান তামিম।  

উইকেট হারানোর পর কিছুটা চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ দল। বাউন্ডারিও কম আসতে থাকে। এর মধ্যে ১৫ বলে ৯ রান করে আউট হয়ে যান হার্ডহিটার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়। টিম প্রেঙ্গেলের বলে ক্লিন বোল্ড হন তিনি।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ড ম্যাচে বৃষ্টির চোখরাঙানি

এদিন উইকেটে এসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও খুব একটা সুবিধা করতে পারছিলেন না। তবে ১৭তম ওভারে গিয়ে ১৬ রান তোলেন টিম প্রিঙ্গেলের বলে। যদিও ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি এই অভিঙ্গ ক্যাম্পেনার। ভ্যান মেকেরিনের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ দেন তিনি। ২১ বলে ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।  

৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি পান সাকিব আল হাসান। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২০ ও বিশ্বকাপে ১৭ ইনিংস পর হাফ সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। শেষ অবধি উইকেটে থেকে দলকে ভালো সংগ্রহও এনে দেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার। জাকেরের সঙ্গে মিলে শেষ দুই ওভারে এনে দেন ২৬ রান। ৯ চারে ৪৬ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ৭ বলে ৩ চারে ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন জাকের আলী অনিক।

এমএল/