প্রায় ২৪ লাখ পশু বিক্রি হয়নি, বড় লোকসানে খামারিরা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:১১ অপরাহ্ন, ১৮ই জুন ২০২৪
এ বছর পবিত্র ঈদুল আজহায় সারাদেশে মোট ১ কোটি ৬ লাখ ২১ হাজার ২২৮ গবাদিপশু বিক্রি হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১১ লাখ ৭৮ হাজার ২২৮টি বেশি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুসারে, এবার মোট মজুদ ছিলো ১ কোটি ২৯ লাখ ৮০ হাজার ৩৬৭টি পশু। সে অনুযায়ী ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ১৩৯টি পশু অবিক্রিত থেকে গেছে।
সোমবার (১৭ জুন) প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এবার সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে ও ময়মনসিংহ বিভাগে সবচেয়ে কম পশু বিক্রি হয়েছে। এ বছর ঢাকায় ২৫ লাখ ২০ হাজার, চট্টগ্রামে ১৯ লাখ ৭৪ হাজার এবং রাজশাহীতে ২৩ লাখ পশু বিক্রি হয়। গত বছর কোরবানির ঈদে ৯৪ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ঈদুল আজহায় পশু কোরবানি বেড়েছে
এবার কোরবানির হাটে চাহিদার শীর্ষে ছিল ছোট ও মাঝারি সাইজের গরু। খামারিদের ভাষ্য, যারা গরু বিক্রি করতে পারেননি, উল্টো ঢাকায় এসে বাড়তি কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে তাদের। এখন গরু পালন করতেই হিমশিম খেতে হবে। কারণ আগের ব্যাংক ঋণ পরিশোধ না করলে নতুন ঋণও পাওয়া যাবে না ব্যাংক থেকে। অন্যদিকে গো-খাদ্যের দাম অনেক চড়া।
আর এতে করে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন এসব খামারি ও ব্যাপারীরা। বিশেষ করে যারা বড় গরু বাজারে এনেছিল তাদের অধিকাংশ গরুই অবিক্রীত রয়েছে। এতে বেশ বিপাকে পড়েছে তারা। চড়া দামের খাবার খাইয়ে, ব্যাংক ঋণ নিয়ে যারা খামার করেছেন, তাদের অনেকের অবস্থাও এখন করুণ। খামার পরিচালনার দৈনন্দিন ব্যয় মেটানোই এখন তাদের জন্য বেশ কঠিন হবে। ভারত-মিয়ানমার থেকে এবার অবৈধ পথে গরু আসায় এই সংকট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: ঈদের দিনে সড়কে ঝরল ১২ প্রাণ
মানিকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, যশোর, পাবনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের খামারি ও মৌসুমি পশু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এবার ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি ছিল। সেই তুলনায় বড় গরুর ক্রেতা ছিলেন খুবই কম।
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসেসিয়েশনের সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, কোরবানি ঈদ সামনে রেখে দেশের সব খামারি ও কৃষক সারা বছর ধরে পশু লালন-পালন করেন। একটু লাভের আশায় তাদের এ পরিশ্রম। কিন্তু এ আশায় গুড়েবালি পড়ছে ভারত ও মিয়ানমার থেকে গরু আসার কারণে।
এমএল/