কাঁঠালের বিচির অবাক করা যত উপকারিতা

বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল। বাংলাদেশের কম-বেশি সব জায়গায়ই এ ফলটি সহজলভ্য। কাঁঠালের রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এ জন্য কাঁঠালকে সুপারফুড বলা হয়। বাংলাদেশে এটি কেবল জাতীয় ফলই নয়, বেশ জনপ্রিয়ও। বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus। কাঁঠাল কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও ফাইটোকেমিকেলসমৃদ্ধ। 

আবার কাঁঠালের বিচিও নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর। গবেষণা বলছে, কাঁঠালের বিচি খাওয়া শরীরের জন্য খুবই উপকারি, এতে কোনো ক্ষতির সম্ভবনা নেই। একে নিউট্রিশাস টনিক বলা হয়।

আরও পড়ুন: এসি থেকে শব্দ কিংবা দুগর্ন্ধ বের হলেই দ্রুত যা করবেন

চলুন জেনে নিই কাঁঠালের বিচির উপকারিতা-

১. প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁঠালের বিচিতে শক্তি পাওয়া যায় ৯৮ ক্যালরি। কাঁঠালের বিচিতে যে পরিমাণে প্রোটিন থাকে, তা দেহের দৈনিক চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট।

২. এটি স্টার্চ (২২%) ও ডায়েটারি ফাইবারের (৩.১৯%) ভালো উৎস। স্টার্চ হজমে সাহায্য করে আর ডায়েটারি ফাইবার শরীরে প্রবেশ করে কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমায়। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি করে কোলোনের কর্মক্ষমতাও।

৩. কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে লিগন্যান, আইসোফ্ল্যালাভিন, স্যাপোনিনসহ ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট, যা অ্যান্টিক্যানসার, অ্যান্টিহাইপারটেনসিভ, অ্যান্টি-অক্রিডেন্ট, অ্যান্টি-আলসার হিসেবে ব্যপক ভূমিকা রাখে।

৪. কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি চোখ সম্পর্কিত একাধিক সমস্যা দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

আরও পড়ুন: ছেলেদের যে পাঁচ স্বভাব নারীদের একেবারেই অপছন্দ

৫. কাঁঠালের বিচি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে সুপরিচিত। এতে একাধিক অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান জীবাণু দূরে রাখার মধ্য দিয়ে ডায়রিয়া, আমাশয়সহ নানা খাদ্য ও পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে অত্যাবশ্যকীয় ভূমিকা পালন করে।

৬. কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় আয়রন, যা খুব অল্প দিনেই রক্তস্বল্পতার মতো সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।

৭. এটি খাওয়ার ফলে চুলের আগা ফাটা সমস্যা রোধ করে ও চুল পড়া কমাতে সহায়তা করে।

৮. এটি বলিরেখা দূর করে ওবং ত্বকের বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

জেবি/আজুবা