কুষ্টিয়ায় ২৪ দিনেও খোঁজ মিলেনি স্কুল ছাত্রীর, পরিবারের দাবী অপহরণ


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, ৩রা জুলাই ২০২৪


কুষ্টিয়ায় ২৪ দিনেও খোঁজ মিলেনি স্কুল ছাত্রীর, পরিবারের দাবী অপহরণ
ছবি: প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের বিত্তিপাড়া গ্রামের ২৪ দিন ধরেও খোঁজ মিলেনি নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর। মেয়েটি  উজানগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। পরিবারের দাবি, তাকে অপহরণ করা হয়েছে। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তুলে নিয়ে অপহরণের অভিযোগ করেছে একই ইউনিয়নের সোনাইডাঙ্গা গ্রামের সাহেদ বিশ্বাস নামে এক ‌যুবকের বিরুদ্ধে। চার পাঁচজন মিলে ১৪ বছরের মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ পরিবারের।


ঘটনার পর ইবি থানায় নারী শিশু নির্যাতন ও অপহরণের একটি মামলা করেন মেয়ের বাবা সরোয়ার হোসেন। এই মামলায়  ৩ জনের নাম সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করা হয়।


মামলার পর একজন আসামি গ্রেফতার হলেও নিখোঁজ মেয়ের জন্য দিশেহারা পরিবারটি।


আরও পড়ুন: স্বামীর মাজারেই থাকতে চান চায়না বেগম, সাধু সমাজের মানববন্ধন 


মেয়ের বাবার অভিযোগ, তার মেয়ে সাবিকুর নূর স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রতিনিয়ত একই এলাকার আলতাফ বিশ্বাসের ছেলে সাহেদ বিশ্বাস প্রেমের প্রস্তাব দিত এবং নানাভাবে উত্যক্ত করত।


তিনি বলেন, ‌পারিবারিকভাবে আমি সাহেদ বিশ্বাসকে বারবার নিষেধ করেছি। শেষে উপায় না পেয়ে সাহেদের বাবা আলতাফ বিশ্বাসকেও জানিয়েছি কিন্তু কোনও ফলাফল পাইনি। নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৯ জুন সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে উজানগ্রামের ক্যানাল ব্রিজ এলাকা থেকে সাহেদ বিশ্বাস ও তার সাথে থাকা  অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন অপহরণ করে নিয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত আমি আমার মেয়ের কোন খোঁজ পাইনি।


এ ঘটনার প্রত্যক্ষদোষী আফাজ মন্ডল বলেন, উজানগ্রামের ক্যানাল ব্রিজ এলাকায় চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম হটাৎ দেখি কিছু ছেলে সাবিকুর নূর কে সি এন জি তে তুলছে জোর করে আমি ওদের মধ্যে শুধু সাহেদ কে চিনেছি বাকিদের চিনতে পারি নি।


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত অন্তত ১৫


ঘটনার বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত সাহেদ বিশ্বাসের পরিবারের সাথে কথা বলতে বাড়িতে গেলে তাদের বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায় নি। 


এ বিষয়ে ইবি থানার অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রহমান বলেন, তদন্ত চলছে, এখন পযন্ত একজন আসামী গ্রেফতার হয়েছে।


এমএল/