মিয়ানমারে সংঘাত:
পাঁচ দিন পর টেকনাফ সীমান্তে আবারও বিকট শব্দ
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৮:৩৪ অপরাহ্ন, ৩রা জুলাই ২০২৪
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে টানা পাঁচ দিন বন্ধের পর আবারও বিস্ফোরণের শব্দে কাঁপল কক্সবাজারের টেকনাফ।
বুধবার (৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে থেমে থেমে রাখাইনের মংডু টাউনশিপের আশপাশের গ্রাম থেকে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পান টেকনাফের বাসিন্দারা। নাফ নদীর তীরে টেকনাফ পৌরসভা, সদর, সাবরাং ইউনিয়নের বাসিন্দারা বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।
এরেআগে গত শুক্রবার বেলা ১টার পর থেকে মঙ্গলবার (২ জুলাই) মধ্য রাত পযর্ন্ত টানা পাঁচদিন ধরে বিস্ফোরণের কোনো শব্দ শোনা যায়নি।
আরও পড়ুন: উখিয়ার ক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে জবাই করে হত্যা
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান ও সাবরাং ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, গত টানা পাঁচদিন সীমান্তে মানুষ শান্তিতে ছিলেন। ওইসময় কোনো ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। কিন্তু আজ বুধবার থেকে ক্রমাগত মর্টার শেল ও ভারী গোলার শব্দ শোনা যাচ্ছে।
সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, গত শুক্রবার দুপুরের পর থেকে মঙ্গলবার পযন্ত টানা পাঁচদিন শান্তিতে ছিলেন সীমান্তের লোকজন। এসময় তারা কোনো ধরনের বিকট বিস্ফোরণের কোনো শব্দ পায়নি। তবে বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ বিকট শব্দে বাড়িঘর কেঁপে ওঠে। প্রথমে সবাই মনে করেছিলেন ভূমিকম্প হচ্ছে। যেভাবে বাড়িঘর কেঁপেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: থানা থেকে পালিয়ে যাওয়া আসামি গ্রেফতার, দুই পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত এলাকার লোকজনের মতে, মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের যে এলাকায় বর্তমানে হামলা হচ্ছে, সেখানে অধিকাংশ রোহিঙ্গা নাগরিকের বসবাস। মংডু টাউনশিপের আশপাশের এলাকায় নতুন করে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এমন বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। তবে সম্ভাব্য রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক রয়েছে কোস্টগার্ড ও বিজিবি। নতুন করে আর কোনো রোহিঙ্গাকে ঠাঁই দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী বলেন, টানা পাঁচদিন কোনো ধরনের বিকট শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে বুধবার থেকে আবারো বিকট শব্দে কেঁপে উঠল টেকনাফ। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে।
এমএল/