মিয়ানমারে সংঘাত :
রাতভর বিস্ফোরণে আতংকিত টেকনাফবাসি
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩:২৮ অপরাহ্ন, ৪ঠা জুলাই ২০২৪
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি ও সে দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আবারও তুমুল লড়াই চলছে। টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়ার বিস্ফারণ এখনও থেমে থেমে অভ্যাহত রয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) রাতভর বিকট বিস্ফারণের শব্দ শোনেছে টেকনাফ সীমান্তের মানুষ। যা বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াই টা পর্যন্ত থেমে থেমে অব্যাহত রয়েছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠেছে সীমান্ত এলাকা। আতংকিত হয়ে উঠেছে টেকনাফবাসি।
টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান জানান, রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরের আশপাশে সংঘাত অনেক বেড়ে গেছে। বিদ্রোহীরা মংডু শহর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ জন্য একের পর এক হামলা হচ্ছে। আর এসব কারণে মংডু শহরের পশ্চিম সীমান্তের টেকনাফ পৌরসভা, সাবরাং ইউনিয়ন ও দক্ষিণের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে সংঘাত: সীমান্তের ওপারে
সাবরাং ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ শরিফ বলেন, টানা পাঁচ দিন শান্ত থাকার পর বুধবার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। রাতভর বিস্ফোরণ এর আগে এমন তীব্র ছিল না। সীমান্ত এলাকার মানুষ সারা রাত জেগে কাটিয়েছে।
সাবরাং ইউপির চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর আবারও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিকট শব্দের কারণে বাড়িঘরে বসবাস করা যাচ্ছে না। এখানকার মানুষের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের জাহাজ, বিস্ফোরণের শব্দও বন্ধ
জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণ সংঘাত তীব্রতর হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যেকোনো অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল জোরদার করা হয়েছে।
টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সংঘাতময় পরিস্থিতিতে কোনো রোহিঙ্গা যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা রাত-দিন কঠোর নজরদারি করছে।
জেবি/এসবি