কোটা সংস্কার আন্দোলন
এবার এক দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৬ অপরাহ্ন, ৭ই জুলাই ২০২৪
চলমান চার দফা দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে এক দফা দাবিতে নামিয়ে এক দফা দাবিতে কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে শাহবাগ ছেড়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৭ জুলাই) রাত পৌনে ৭টায় কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে আজকের আন্দোলনে ইস্তফা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমম্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে। এছাড়া সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়ক অবরোধ চলবে।
এদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি শুরু হবে।
এদিকে, এতোদিন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা বৈষম্য নিরসনের দাবি জানালেও এবার সব গ্রেডে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে পুলিশ
তাদের দাবি হলো-সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটা ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা সংস্কার করতে হবে।
আন্দোলনের সমম্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এবার ১ম ও ২য় শ্রেণিতে নয়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণিতেও কোটার যৌক্তিক সংস্কার চাই আমরা। আমাদের বারবার আদালত দেখানো হচ্ছে। আমরা তাদের সংবিধান দেখাচ্ছি।
তিনি বলেন, “কোটার বিষয়ে রাজপথ থেকেই ফায়সালা হবে। আলাপের দিন শেষ হয়ে গেছে। আমরা আলোচনা করেছিলাম ২০১৮ সালে। বিনিময়ে আমরা পেয়েছি প্রহসন।”
সমম্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, কোটা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না। আমরা মেধাভিত্তিক প্রশাসন গড়তে চাই। এটা একইসাথে কৃষক-শ্রমিকের আন্দোলন।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: নীলক্ষেতে ইডেন কলেজ ছাত্রীদের অবরোধ
সমম্বয়ক সারজিস আলম বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আমাদের ভয় হয়। ১৯৭৫ সালের আগে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেও বন্ধুরূপে মোশতাক ছিল। প্রধানমন্ত্রীর পাশেও কিছু মোশতাক রয়েছে, যারা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন তার কানে পৌঁছে দিচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্র সমাজ প্রধানমন্ত্রীর দিকে চেয়ে আছে। সংবিধান অনুসারে যৌক্তিক সংস্কার করুন। নাতি-পুতি কোটা আমরা মানি না। একটি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ হতে পারে না।”
জেবি/এসবি