জুনিয়র সাকিব খানের বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেললেন স্ত্রী


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:৪৭ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৪


জুনিয়র সাকিব খানের বিশেষ অঙ্গ কেটে ফেললেন স্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জে পারিবারিক কলহের জের ধরে ঘুমন্ত স্বামীর গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন স্ত্রী শিখা। 


মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোরে উপজেলার কলাগাছিয়া কান্দিরপাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় শিখাকে আটক করে বন্দর থানায় নেওয়া হয়েছে।


আহত স্বামীর নাম সাকিব খান। তিনি শাকিব খানের মতো কথা বলে বেশ ভাইরাল হন। এরপর টিকটকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। আটক শিখা খান (২৬) বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় এলাকার জুম্মন খানের মেয়ে।


আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে জাহাজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট


স্থানীয়রা জানায়, সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করেন। তারা দুজনই মাদকাসক্ত। প্রায় সময় তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হতো। কয়েক বার স্থানীয়রা তাদের মীমাংসা করে দিয়েছেন। সাকিব ও শিখার একাধিক বিয়ে হয়েছে। আজ ভোরে কোনো একসময় ঘরের ভেতর সাকিবের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন তার স্ত্রী।


মদনগঞ্জ ফাঁড়ির এসআই রাজু আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে আলোচিত টিকটকার সাকিবকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানার ওপর পাওয়া যায়। গোপনাঙ্গ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। কেটে ফেলা গোপনাঙ্গের অংশ শিখার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।”


তিনি আরও বলেন, “আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাকিবকে সঙ্গে সঙ্গে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সাকিবকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে। এখানে তার সার্জারি চলছে।”


আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ


রাজু আহম্মেদ বলেন, “সাকিব খানের আসল নাম সাকিল বেপারী। তিনি মাদারীপুর জেলার বাজিতপুর এলাকার মিন্টু বেপারীর ছেলে। সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা দুজনই মাদকাসক্ত। আহত সাকিবের তথ্যমতে, শিখা তার স্বামীকে মধ্য রাতের কোনো এক সময় বিয়ারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন।”


তিনি বলেন, “ঘুমিয়ে পড়লে ভোরের কোনও এক সময় তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন শিখা। তাদের মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া হতো। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সে বিষয়ে তদন্ত শেষে বলা যাবে। অভিযুক্ত শিখা খানকে আটক করে বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”


জেবি/এসবি