কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন এমপি


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮:১৩ অপরাহ্ন, ৯ই জুলাই ২০২৪


কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে তীব্র ভাঙন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করলেন এমপি
ছবি: প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় দিনদিন পদ্মা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। আকস্মিক ভাবে পদ্মানদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। ভেঙে পড়ছে নদী-তীরবর্তী এলাকা। হুমকিতে নদী সংলগ্ন বসতভিটা ও ফসলি জমি। পদ্মার তীব্র স্রোতে দিন দিন নতুন নতুন এলাকা ভাঙছে।


ফলে ভেড়ামারা উপজেলার রায়টা বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে। ভাঙন থেকে মাত্র ১শ’ মিটার দূরে ঝুঁকিতে রয়েছে প্রায় ৩ হাজার পরিবারের ঘর-বাড়ি। অপর দিকে বার মাইল টিকটিকি পাড়ার সামনে বিশাল এলাকা পদ্মা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কয়েকশ’ একর ফসলি জমি।


আরও পড়ুন: কুমারখালীতে ককটেল উদ্ধার


বাহাদুরপুর ইউনিয়নের রায়টা বেড়িবাঁধের পাশেই রাইটা পাথর ঘাট। ভেড়ামারা থানার একটি অন্যতম সুন্দর্যময় স্থান। এখানে রয়েছে পিকনিক স্পট। প্রতিনিয়ত পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই বাঁধের নিকটে এসে পানির ধাক্কা লাগছে। পানির স্রোতে ঘুরপাক ও পানির তীব্রতায় রায়টা বেড়িবাঁধ ভাঙতে শুরু করেছ। এই বাঁধ ভেঙে গেলে রায়টা নতুন পাড়া. ফয়জুল্লাপুর এই দুইটি গ্রাম আগে পানিতে ডুবে যাবে। পানি বন্দি হয়ে পড়বে প্রায় ৩ হাজার পরিবার।


আষাঢ় মাসে পদ্মায় পানি তুলনা মুলক কম হলে ও বন্যার পানি আসা শুরু করেছে। পদ্মায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। যা দেখে স্থানীয় মানুষ হতভম্ব হয়ে পড়েছে।


কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার বার মাইল এলাকায় আবার কয়েকদিন থেকে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যেই নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধকি বিঘা ফসলি জমি।


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া মিরপুরে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই


এদিকে আয়ের একমাত্র উৎস ফসলি জমি হারিয়ে নদী তীরবর্তী জনপদের মানুষগুলো চরম বিপদের মধ্যে রয়েছেন।


কুষ্টিয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য কামারুল আরেফিন বলেন, দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাও ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। 


ভাঙ্গনরোধে জরুরি ভিক্তিতে বালিভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হবে। ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুতই কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান, কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান।


ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ডু জানান, এখন যে ভাঙন দেখা দিয়েছে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমাদের উদ্যোগ রয়েছে, দুই একদিনের মধ্যেই ভাঙন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হবে।


ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল আলম চুনু বলেন, অতি সত্ত্বর ভাঙনরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কিশোর গুলিবিদ্ধ, গ্রেফতার হয়নি কেউ


ভেড়ামারা ভাঙন কবলিত এলাকা মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর আড়াইটার সময় বার মাইলসহ বেশ কয়েকটি ভাঙন এলাকা পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন করেন, এমপি কামারুল আরেফিন, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল আলম চুনু, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পশ্চিমাঞ্চল) ফরিদপুর জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ, উপজেলা নির্বাহি অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু, কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান। উপ-সহকারী প্রকেীশলী শ্রী অসীম কুমার ও মসফিকুর রহমান। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল। ভেড়ামারা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শামীমুল ইসলাম ছানা, ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ জহুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব জাকির হোসেন বুলবুল, যুবলীগ নেতা আহাদুজ্জামান রানা, আব্দুল আজিজ, বিশিষ্ট সমাজসেবক তানভীর আহমেদ তাপস সহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।


এমএল/