প্রথমবারের মতো কাবার গিলাফ পরিবর্তনে নারীদের অংশগ্রহণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ন, ১১ই জুলাই ২০২৪
পবিত্র কাবাঘরে নতুন গিলাফ (কিসওয়া) পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে ইতিহাসে এই প্রথমবার পবিত্র কাবাঘরের কিসওয়া বদলানোর প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশ নিতে দেখা গেছে সৌদি নারীদের। এর আগে কখষনো এ কাজ করতে দেখা যায়নি তাদের।
শনিবার (৬ জুলাই) হিজরি নববর্ষের প্রথম রাতে মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম প্রাঙ্গণে গিলাফ পরিবর্তনের কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। ৪ ঘণ্টাব্যাপী চলমান এ কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের সাধারণ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: নতুন গিলাফে জড়ানো হলো পবিত্র কাবা
মূলত ইসলামের প্রথম যুগ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত দিবসে কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তনের রীতি ছিল। তবে গত ২০২২ সাল মোতাবেক ১৪৪৪ হিজরি থেকে কাবার গিলাফ পরিবর্তনের সময়ে পরিবর্তন আনে দেশটির সরকার। তখন থেকে হিজরি নববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মহররমের প্রথম রাতে গিলাফ পরিবর্তন করা হয়।
সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, মক্কার কিং আবদুল আজিজ কমপ্লেক্সে পবিত্র কাবাঘরের কালো গিলাফ প্রস্তুত করা হয়। সেখানকার বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদের তত্ত্বাবধানে ১৫৯ জন দক্ষ কারিগর নতুন গিলাফ পরিবর্তনের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এ ক্ষেত্রে তাঁরা প্রথমে কাবাঘর থেকে পুরনো গিলাফ সরিয়ে নেন। এরপর নতুন গিলাফ স্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: পবিত্র কাবাঘর সংরক্ষণের দায়িত্ব পেলেন শায়খ আব্দুল ওয়াহাব আল শাইবি
বার্তা সংস্থা আরও জানিয়েছে, গিলাফ তৈরিতে ১২০ কেজি সোনা, ১০০ কেজি রুপা ও এক হাজার কেজি রেশমের সুতা ব্যবহার করা হয়। ওই কাপড়ে পবিত্র কোরআনের আয়াত ও আল্লাহর গুণবাচক নামের ক্যালিগ্রাফি থাকে। গিলাফের সব কাজ শেষ করতে ছয় থেকে আট মাস সময় লাগে। সব মিলিয়ে এক হাজার ৩৫০ কেজি ওজন ও ১৪ মিটার উচ্চতার এই গিলাফ তৈরিতে ব্যয় হয় ২৫ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল বা সাড়ে ছয় মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই গিলাফকে বিশ্বের ব্যয়বহুল কাপড় বলে মনে করা হয়।
জেবি/এসবি