অত্যাচারীকে কতটুকু সুযোগ দেন আল্লাহ তায়ালা?


Janobani

ইসলাম ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪:৩২ অপরাহ্ন, ৬ই আগস্ট ২০২৪


অত্যাচারীকে কতটুকু সুযোগ দেন আল্লাহ তায়ালা?
প্রতীকী ছবি

পৃথিবীতে দাম্ভিক, স্বৈরাচার, অত্যাচারীর ইতিহাস অনেক পুরনোিএকটা বিষয়। যুগে যুগে অসংখ্য দাম্ভিক, স্বৈরাচার অতিবাহিত হয়েছে বিশ্বজুড়ে। মহান আল্লাহ তায়ালা অত্যাচারীকে সুযোগ দিলেও ছেড়ে দেন না। সব অত্যাচারীর জন্য 

মহান আল্লাহ তায়ালা নির্ধারিত সময় ঠিক করে রাখেন। যখন সে সব সীমা লঙ্ঘন করে ফেলে তখনই মহান আল্লাহ তায়ালা তার অত্যাচারী-সীম লঙ্ঘনের  ফল কিরুপ হয় তা দেখিয়ে দেন। 


আরও পড়ুন: অন্যায়ভাবে হত্যা করা নিয়ে কী বলছে ইসলাম?


মহান আল্লাহ তায়ালা যখন  কাউকে পাকরাউ করেন তখন তার আর রক্ষা পাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। পবিত্র কোরআনুল কারিমে বর্ণিত — ‘যেদিন আমি তোমাদের প্রবলভাবে পাকড়াও করব, সেদিন নিশ্চয় আমি তোমাদের শাস্তি দেবই।’ (সূরা দুখান, আয়াত : ১৬)


মহান আল্লাহ তায়ালা যখন অত্যাচারীকে পাকড়াও করেন তখন তার পালাবার কিংবা কোথাও আশ্রয় নেওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। এর অসংখ্য প্রমান আছে পৃথিবীর ইতিহাসে। স্বৈরাচারী ফেরাউন, নমরুদ, বুখতে নাসর এর অন্যতম উদারহণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত আছে। এছাড়াও যুগে যুগে স্বৈরাচার উৎখাতে কাজ করতে হয়েছে মানুষকে। 


আরও পড়ুন: যেমন ছিল রাসূল সা.-এর রাতের ইবাদত


প্রত্যেক যুগের মানুষের মূলত ন্যায়ের পক্ষ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বাঁচতে হয়। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অত্যাচারীর অত্যাচার কখনো কখনো এতোটাই বেড়ে যায় যে, এ থেকে মুক্তির কোনো রকম আশা-ভরসা আর মনে হয় থাকে না। মনে হয় এ অত্যাচার কখনোই শেষ হবার না। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জ্বলবে এই অত্যাচার-অনাচারের আগুন। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা মজলুমকে কখনো নিরাশ করেন না। তিনি কিছুর ব্যাপারে অবগত এবং নির্ধারিত সময়েই তিনি প্রতিকার করেন।


পবিত্র আল কোরআনে বর্ণিত হয়েছে— ‘বলো, আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রকাশ্য ও গোপন অশ্লীলতা, পাপ, অন্যায়, বিরোধিতা, আল্লাহর অংশীদার স্থির করা যে ব্যাপারে তিনি কোনো প্রমাণ নাজিল করেননি, আর আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদের অজ্ঞতাপ্রসূত কথাবার্তা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। আর প্রত্যেক জাতির এক নির্দিষ্ট সময় আছে। সুতরাং যখন তাদের সময় আসবে, তখন তারা মুহূর্তকালও বিলম্ব বা ত্বরা করতে পারবে না।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ৩৩-৩৪)


আরও পড়ুন: সুন্নতে খতনার সঠিক বয়স কত?


অপর এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন, তুমি কখনও মনে করবে না যে, জালিমরা যা করে, সে বিষয়ে আল্লাহ গাফিল। তিনি তাদেরকে সে দিন পর্যন্ত অবকাশ দেন, যে দিন তাদের চোখগুলো হবে স্থীর, ভীত বিহবল চিত্তে আকাশের দিকে চেয়ে তারা ছুটাছুটি করবে, নিজেদের প্রতি তাদের দৃষ্টি ফিরবে না এবং তাদের অন্তর হবে শূণ্য (সূরা ইবরাহিম, আয়াত : ৪২-৪৩)।


এসডি/