হাইকোর্ট ঘেরাওয়ের ডাক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের

ঢাকার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সহ আপামর জনতাকে আহ্বান করা হচ্ছে
বিজ্ঞাপন
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আ. লীগ সরকার পতনের পরএবার হাইকোট ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ জন্য কার্জন হলের গেটে সবাইকে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে এক বার্তায় এ আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এতে বলা হয়, “ঢাকার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী সহ আপামর জনতাকে আহ্বান করা হচ্ছে, যত দ্রুত সম্ভব আপনারা প্রতিটি এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টের দিকে আসুন। হাইকোর্ট ঘেরাও করা হবে। সেইসাথে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে মিছিল বের করুন। দেশের প্রতিটি জেলাকোর্ট, জর্জকোর্ট ও বিচারপতিদের বাসভবন ঘেরাও করা হবে। আজ ফ্যাসিবাদী বিচারব্যবস্থাকে আজ সমূলে উৎখাত করবে গোটা বাংলাদেশ। দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির নামে যেই ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট শিক্ষক উইং রয়েছে তা আজ ভেঙেচুরে গুড়িয়ে দেয়া হবে, সকল সিন্ডিকেটকে আজকেই ভেঙে দেয়া হবে।”
“ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সাথে কোনপ্রকার আলোচনা না করে ফুল কোর্ট মিটিং ডেকেছে। পরাজিত শক্তির যেকোন প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাদেরকে উষ্কানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে।”
বিজ্ঞাপন
“অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন। অন্যথায় যে জনতা অভ্যুত্থান করে স্বৈরাচারী হাসিনাকে গদি থেকে নামাতে পারে, আপনাদের গদি থেকে টেনে নামাতে তাদের আধঘন্টাও লাগবে না।”
বিজ্ঞাপন
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের সব বিচারপতিদের নিয়ে জরুরি ফুল কোর্ট সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচারপতিরা সভাটি করবেন বলে জানা গেছে।
জেবি/এসবি








