চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবী শিক্ষার্থীদের


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৪:০৯ অপরাহ্ন, ১০ই আগস্ট ২০২৪


চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের পদত্যাগ দাবী শিক্ষার্থীদের
ছবি: প্রতিনিধি

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নাসিম আখতারের পদত্যাগ দাবি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গত ২দিন ধরে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করা একটি বিবৃতি সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।


বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নাসিম আখতার শিক্ষার্থীদের নূন্যতম সুযোগ-সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদাসীন হওয়ায় আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা তার পদত্যাগ চাই।


আরও পড়ুন: কক্সবাজারে থানা পুলিশের সেবা সচল করতে সকল সহযোগিতা করা হচ্ছে: সেনাবাহিনীর জিওসি


চাঁদপুর শহরের খলিসাডুলি এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থান। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন শিক্ষকরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়েছেন উপচার্য ড. মো. নাসিম আখতার।


শিক্ষার্থী জানান, ভিসি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বগ্রহণ করার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি বরং শিক্ষার্থীদের বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনমূলক উন্নয়ন কার্যক্রম পিছিয়ে দিয়েছেন তিনি। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছেন এবং হুমকি ধমকি প্রদান করেন। আমরা সকল শিক্ষার্থী এই উপাচার্যের পদত্যাগ চাই।


আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে ফিরিয়ে দিয়েছে লুট হওয়া অস্ত্র-গুলি


এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, ছাত্র আন্দোলনের কঠিন এমন পরিস্থিতিতে উপচার্য অধ্যাপক ড. মো. নাসিম আখতার ছিলেন না। তিনি নিরাপদ অবস্থানে আছেন। তবে তিনি আমাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ রক্ষায় দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করেছি।


তারা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়ার পর একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হবে। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবিগুলো সরিয়ে রেখেছি। শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি সুন্দর স্থানে স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে চাঁদপুরের সচেতন মহলের প্রতি দাবি জানান।


এমএল/