মোংলায় চিংড়ি ঘের দখল, বাঁধা দেওয়ায় দুর্বৃত্তদের হামলা


Janobani

উপজেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৬:৩৩ অপরাহ্ন, ১০ই আগস্ট ২০২৪


মোংলায় চিংড়ি ঘের দখল, বাঁধা দেওয়ায় দুর্বৃত্তদের হামলা
ছবি: প্রতিনিধি

চিংড়ি ঘের জবর দখলে প্রতিবাদ ও বাঁধা দেওয়ায় মোংলার চিলা ইউনিয়নে বিএনপির এক পক্ষের দুর্বৃত্তদের হামলায় স্থানীয় অপর বিএনপি নেতা ও বাগেরহাট জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক সাহাবুদ্দিন ফকিরসহ ৫জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু হামলা নয়, টানা ৪দিন ধরে স্বপরিবারে গৃহবন্দি রয়েছে ওই বিএনপি নেতা। তার বাড়ির যাতায়াত পথ বন্ধ করে ঘিরে রেখেছে বিএনপি নামধারী দুর্বৃত্তরা।


এ ঘটনায় শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা ১১টায় মোংলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিকার চেয়েছেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতা সাহাবুদ্দিন ফকির। লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চিলা ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি’র ও এর অঙ্গ সংগঠনের নাম ব্যবহার করে সুযোগ সন্ধানী একদল দুর্বৃত্ত হামলা-ভাংচুর ও লুটপাটসহ চিংড়ি ঘেরে দখলে মরিয়া হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী উশৃংখলতা বন্ধে এগিয়ে আসেন বাগেরহাট জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহবায়ক ও চিলা ইউনিয়ন বিএনপি’র সহ-সভাপতি সাহবুদ্দিন ফকির। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে  মঙ্গলবার (৬ আগষ্ট) সন্ধ্যায় স্থানীয় আ’লীগ কার্যালয়ের সামনে তাকে ডেকে নেয় ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মিঠু ফকির। এ সময় ১০-১৫জনের একদল দুর্বৃত্ত তাকে মারধর শুরু করে। 


আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সরকারী হাসপাতালের নারী স্টাফকে মারধর করলেন যুবলীগ নেতা


খবর পেয়ে সাহাবুদ্দিনে আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছালে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্র-সশস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি তাদের উপর হামলায় চালায়। এতে বিএনপি নেতা সাহাবুদ্দিন ফকির (৫৭), তার ভাই হালিম ফকির(৪০), হাতেম ফকির(৪৩), সামাদ মুসল্লি (৫৯), সাদ্দাম শেখ(৪০) গুরুত্বর জখম হন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সংবাদ সম্মেলনে এ হামলা ও ঘের দখলের নেপথ্যে যুবদল নেতা মিঠু ফকির জড়িতের অভিযোগ করে বলা হয়, স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসরাত ফকিরের ১১০বিঘা’র দুইটি চিংড়ি ঘের দখলসহ গ্রাম জুড়ে হামলা-ভাংচুর অব্যাহত রেখেছে বিএনপি নামধারী এক শ্রেণির সুযোগ সন্ধানী দুর্বৃত্তরা। 


এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে। ঘটনার পর থেকে বিএনপি নেতা সাহাবুদ্দিন ও তার পরিবার সন্ত্রাসীদের হামলার ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে অনেকটা গৃহবন্দি হয়ে থাকছেন। তার বাড়ির যাতায়াত পথও বন্ধ করে দিয়েছে দতুর্বৃত্তরা। এ অবস্থায় পরিবারটি অনেকটা অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। এ বিষয় প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় বিএনপির নেতাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী বিএনপি নেতার পরিবার।


আরও পড়ুন: বাগেরহাটে সড়কে বাস উল্টে নিহত ২, আহত ২৫

 

এ বিষয় মোংলা থানার ওসি কে, এম আজিজুল ইসলাম বলেন, হাত-পা ভাঙ্গা ও মাথা ফাঁটা অবস্থায় বেশ কয়েকজন লোক থানা এসেছিলেন। তবে এখনও কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।


এদিকে এ প্রসঙ্গে যুবদল নেতা মিঠু ফকির তার বিরুদ্ধে উত্থাপতি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি হামলা-ভাংচুর ও লুটপাট এবং চিংড়ি ঘের দখলের মতো ঘটনায় জড়িত নন। 


অপরদিকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক লায়ন ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন, দলীয় নেতা-কর্মীরা কেউ হামলা-দখলসহ বিশৃংখল পরিবেশ সৃস্টি করলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এমএল/