যাত্রাবাড়ীতে যুবক হত্যা

হাসিনা-রেহানা-জয় ও পতুলের নামে হত্যা মামলার আবেদন


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১:৩২ অপরাহ্ন, ২০শে আগস্ট ২০২৪


হাসিনা-রেহানা-জয় ও পতুলের নামে হত্যা মামলার আবেদন
ফাইল ছবি

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে টোল প্লাজায় যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগে সাবেক প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলার আবেদন করা হয়েছে। 


মঙ্গলবার ( ২০ আগস্ট)  ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহম্মেদ এর আদালতে মামলার আবেদন করা হয়। আদালত নিহত যুবক ফরিদ শেখের পিতা সুলতান মিয়ার জবানবন্দি গ্রহন করে আদেশ পরে দিবেন বলে জানান।


মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৪ জুলাই তারিখে শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবীতে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় বিকাল ৩.৩০ ঘটিকার সময় ফরিদ শেখ যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার এর টোল প্লাজার দক্ষিণ পার্শ্বের রাস্তা দিয়ে, তাহার ফলের দোকানে যাওয়ার সময় শেখ হাসিনার নির্দেশে গণহত্যা চালানোর সময় পুলিশের গুলির আঘাতে মারাত্মক জখম প্রাপ্ত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পরেন। আশেপাশের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফরিদ শেখকে মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। গুলি ফরিদ শেখ এর পাকস্থলির ডান পাশে লেগে বাম পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুগদা হাসপাতালে ফরিদ শেখ  ৬ আগস্ট সকাল ১১.৪৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন।


অভিযোগে আরও বলা হয়, আসামীগণ সংঘবদ্ধ, এককদলভুক্ত, স্বৈরাচারী শাসন কায়েমকারী। স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করে বাংলাদেশের টাকা বিদেশে পাঁচার করা তাহাদের একমাত্র উদ্দেশ্য। উক্ত স্বৈরাচারী শাসন বাংলাদেশে বহাল করার জন্য তারা জনগনকে হত্যা, গুম, শারীরিকভাবে বিকলাঙ্গসহ অন্যান্য মারাত্মক ও ঘৃন্য অপরাধ করে। শেখ হাসিনা তাহার স্বৈরাচারী শাসন কায়েম রাখার জন্য ২০০৯ইং সাল হইতে বাংলাদেশের নিরীহ জনগনের উপর অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় হত্যা, গুম, অপহরন, বিকলাঙ্গ সহ নানা ধরনের অমানবিক অপরাধ সংঘটন করে আসছিলেন। সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার যথাক্রমে পুত্র, কন্যা ও সহোদর বোন বটে। আসামীদের নিজস্ব কোন পেশা নেই বা কোন প্রকার ব্যবসার সহিত জড়িত নয়। তাহাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে বহাল রেখে তাহার মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা লুট করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে পাঁচার করা এবং উক্ত লুটের টাকা দিয়ে উন্নত জীবন-যাপন করা। আসামীদের কু প্ররোচনায় ও পরামর্শে ১নং আসামী শেখ হাসিনা তাহার পোষ্য বাহিনী দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে আসছিলেন। আসামীগণ অসৎভাবে অর্থ লুট করার জন্য এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ করার জন্য ২০০৯ইং সাল থেকেই শেখ হাসিনাকে যেকোন উপায়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য উৎসাহ দিয়ে আসছে। প্রয়োজনে গণ হত্যা করার জন্যও শেখ হাসিনাকে তাহার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও বোন শেখ রেহানা টেলিফোন, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে গনহত্যা করার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন।


মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোঃ হাছান মাহমুদ, সাবেক ডাক-টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক পুলিশ মহা-পরিদর্শক আবদুল্লাহ আল মামুন, ডিআইজি, ঢাকা রেঞ্জ সৈয়দ নুরুল ইসলাম, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশিদ, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ বিপ্লব কুমার, সাবেক কমিশনার ডিএমপি হাবিবুর রহমান, সভাপতি, জাসদ হাসানুল হক (ইনু), সভাপতি, ওয়াকার্স পার্টি রাশেদ খান মেনন, ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সভাপতি  সাদ্দাম হোসেন, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ. আরাফাত, যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসানসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জন।



জেবি/এসবি