সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ শতাধীক নেতাকর্মীর নামে তিন মামলা


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯:৩৫ অপরাহ্ন, ২০শে আগস্ট ২০২৪


সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনসহ শতাধীক নেতাকর্মীর নামে তিন মামলা
ছবি: প্রতিনিধি

মেহেরপুর সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তার পত্নী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, সহ শতাধীক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ অবস্থার কর্মসূচি পালন করার সময় দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মহড়া চালানোর ঘটনায় সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের হাসনাত জামান বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন। মেহেরপুর সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. মঞ্জরুল ইমাম মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহন করে তদন্তের আদেশ দেন। 


মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর বারোটার দিকে এ আদেশ দেন তিনি। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড: মারুফ আহম্মেদ বিজন। 


আরও পড়ুন: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও হানিফকে প্রধান আসামী করে কুষ্টিয়ায় ২০১জনের নামে হত্যা মামলা


মামলার এজাহারে জানাযায়, ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র, তাদের অভিভাবক এবং জনসাধারণ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে সকাল সাড় ১০টার সময় মেহেরপুর কলেজ মোড়ে শান্তিপূর্ণ গণজমায়েত ও দাবির পক্ষের সাংবাদিকদের উপস্থিতির বক্তব্য পেশ করা অবস্থায় প্রথম ঘটনায় আসামিরা অবৈধ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র সহ খুন যখম করার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল যোগে মহড়া দেয়। এঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য হাসনাত জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।


মামলার বাদী হাসনাত জামান জানান, সোমবার তিনি সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী তার পত্নী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম সহ শতাধীক নেতাকর্মীর  বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এছাড়া গাংনীর ঘটনায় আরো দুটি পৃথক মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।


আরও পড়ুন: মেহেরপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে জরিমানা


মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি এ্যাড: মারুফ আহম্মেদ বিজন বলেন, মেহেরপুর আদালতে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রীর নামে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা গুলোকে এজাহার হিসেবে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলাটি এখন থানার একজন তদন্ত কমকতা তদন্ত করবেন। তদন্তে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা সহ যাদের নাম বাদ গিয়েছে তাদের বের করে আনার দাবী জানান এই আইনজীবি।


মেহেরপুর সদর থানার ওসি কনি মিয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের আদেশে আমরা মামলা এজাহার সহ আসামীদের আটকের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি। মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে দ্রুত চাজশিট দাখিল করা হবে।


এমএল/