জেনে নিন আবেগ নিয়ন্ত্রণের উপায়

আমাদের সবার আবেগ একইরকম হয় না
বিজ্ঞাপন
আমাদের সবার আবেগ একইরকম হয় না। কেউ কেউ খুব সহজেই আবেগ সামলে উঠতে পারেন, আবার কারও জন্য অতোটা সহজ হয় না। একই রকম ঘটনায় কেউ দেখবেন হাউমাউ করে কাঁদছে আবার কেউ চুপচাপ হয়ে আছে। এ থেকে বুঝাযায় সবাই সমানভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। একজন মানুষ হিসেবে অবশ্যই আবেগ থাকবে। আর তার কারণ আবেগ যদি বেচেঁ না থাকলে তাহলে সেই মানুষ ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। তবে অতিরিক্ত আবেগও ভালো না।
আরও পড়ুন: যেসব অভ্যাসের কারনে কমতে পারে জীবনের আয়ু
বিজ্ঞাপন
আমরা হয়তো কোনো বিষয় নিজের মতো করে ভেবে নিই। এরপর আবার মনে মনেই কষ্ট পেতে থাকি। কিন্তু নিজের মনের মধ্যে গড়ে ওঠা সেই গল্পটি কখনো কি সূক্ষ্ণভাবে একবার ভেবে দেখেছেন? যখন মস্তিষ্কের কাছে পর্যাপ্ত পরিমান তথ্য না থাকে তখন সে নিজের মতো করে গল্প তৈরি করতে থাকে।
বিজ্ঞাপন
আমরা আবেগের বশে যেসব কল্পনা করে থাকি, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তা অতিরিক্ত ভাবার কারণে গড়ে ওঠে। এটি আমাদের নানাভাবে প্রভাবিত করে থাকে। সত্যটা সঠিক ভাবে বোঝার জন্য ঘটনাটি সম্পর্কে ভালোভাবে জানা জরুরি। তা না হলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করাটা কঠিন হয়ে যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আবেগ এবং বাস্তবতার পার্থক্য থাকে বিস্তর।
কখনো কখনো নিজেকে খুববেশি অসহায় মনে হতে পারে। মনে হতে পারে যে, আমাদের হয়তো আর কিছুই করার নেই। আসলে কিন্তু তা নয়। সব পরিস্থিতি মোকাবিলা কারার জন্য রয়েছে কোনো না কোনো উপায়। আপনি কোনটি বেছে নেবেন সেদিকে খেয়াল করতে হবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: যেভাবে ঘরোয়া উপায়ে পেটের গ্যাস দূর করবেন
বিজ্ঞাপন
কখনো নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য আমরা আক্রমণ করে থাকি। তবে এটি যে সব সময়ই সঠিক হবে তা কিন্তু না। বরং অপরপক্ষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এর বদলে পরিস্থিতি এড়িয়ে বরং বিরতি নেওয়া যেতে পারে। একটা জিনিস মনে রাখবেন, চুপ থাকা মানেই হেরে যাওয়া নয়। আবার হেরে যাওয়া মানেই শেষ হয়ে যাওয়া নয়।
আবেগের সাথে শুধু মনেরি নয়, সম্পর্ক থাকে শরীরেরও। তাই আমাদের হৃদয় কী অনুভব করছে এবং শরীর তাতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে সেদিকে নজর রাখা উচিত। হৃদস্পন্দন, ক্লান্তি অথবা ক্ষুধা অনুভূতি হতে পারে মানসিক অশান্তির লক্ষণ। তাই এদিকে খেয়াল রাখা অতি জরুরি।
বিজ্ঞাপন
এসডি/








