আশ্রয় খোঁজে বানভাসীরা, বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সংকট
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:১২ অপরাহ্ন, ২৭শে আগস্ট ২০২৪
কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢলে লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি নেই এক সপ্তাহ ধরে। আশ্রয়ের সন্ধানে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছুটছেন বানভাসীরা। আশ্রয় সংকট ছাড়াও বানভাসীরা ভুগছেন ওষুধ, সুপেয় পানি ও খাবার সংকটে।
গেল এক সপ্তাহ ধরে ত্রাণ ও আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করছেন বন্যাত কবলিত লক্ষ্মীপুরের মানুষেরা। বন্যায় ঘরবাড়ি ডুবে যাওয়ায় ৫ উপজেলার ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে দিশেহারা। ১৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে জায়গা হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার মানুষের।
এতে আশ্রয় কেন্দ্রে স্বস্তি নেই। দিনে ও রাতে বেশিভাগ সময় থাকছে না বিদ্যুৎ। এ ছাড়া পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নেই পর্যাপ্ত ওষুধ, বিশুদ্ধ পানি ও খাবারের সরবরাহ।
আরও পড়ুন: ফারাক্কার গেট খোলার পরও রাজবাড়ীতে কমছে পদ্মার পানি
নোয়াখালীর বন্যা দুর্গত অনেক এলাকায় এখনো ত্রাণ পৌঁছায়নি। নোয়াখালীর বন্যা দুর্গত অনেক এলাকায় বানভাসীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৬৬টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন। সরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগে পৌঁছানো হচ্ছে ত্রাণ সহায়তা।
লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান জানান, “আমরা সিভিল সার্জনের সাথেও যোগাযোগ রেখেছি। আমাদের স্বাস্থ্যসেবাগুলো যেন অব্যাহত থাকে, সে বিষয়ে তিনি কাজ করছেন। এ বিষয়ে ৬৬টি মেডিকেল টিম রয়েছে। সরকারিভাবে যে বরাদ্দ আমরা পেয়েছি, তা ইউএনওদের ভাগ করে দিচ্ছি। ইউএনওরা চাল ও শুকনো খাবার কিনে প্যাকেট করে বিভিন্ন জায়গায় বিতরণ করছে।”
আরও পড়ুন: খোকসায় পানিবন্দী ৩০ পরিবার, দুর্ভোগ চরমে
এদিকে, নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও শহরে ও গ্রামের বিভিন্ন উঁচু দালানগুলোতে আশ্রায় নিয়েছেন বানভাসীরা। এখানেও পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই ওষুধ, পানি ও খাবার। তবে সরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়া মানুষ পাচ্ছেন কিছুটা সুযোগ-সুবিধা।
জেবি/এসবি