পাচার হওয়া অর্থ ফেরতে সহযোগিতার আশ্বাস যুক্তরাজ্যের

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ ও তাবিথ আউয়াল এতে অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক।
সোমবার (২৬ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে বিগত সরকারের আমলে দেশ থেকে পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার। এসময় দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা শামা ওবায়েদ ও তাবিথ আউয়াল এতে অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, “দ্বিপক্ষীয় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কত তাড়াতাড়ি আমরা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছি, সে আলোচনাও এসেছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং এর বাইরেও যে সম্পর্ক আছে, আগামী দিনে তা কীভাবে আরও এগিয়ে নেওয়া যায়, এসব বিষয়ও ছিল।”
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “বিগত সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে যে অর্থ পাচার হয়েছে, তা ফেরত আনার বিষয়ে আমাদের দিক থেকে সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। কারা কত টাকা পাচার করেছে, তা ইতোমধ্যে পত্রপত্রিকায় এসেছে। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্যে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার হয়েছে; অনেকের নামও এসেছে। এসব অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে তাদের (যুক্তরাজ্য) ভূমিকা ও সহযোগিতার কথা আলোচনা হয়েছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।”
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আমীর খসরু আরও বলেন, “বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা যাওয়া ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সরকার পতনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতদের সংখ্যা, বিগত ১৫ বছরে হত্যা, গুম, নির্যাতন, মামলার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘ থেকে আসা তদন্ত দলের বিষয়ে হাইকমিশনার জানতে চেয়েছেন। বলেছি, আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। জাতিসংঘ যে তদন্ত করবে তা নিরপেক্ষ হবে। তদন্ত দল যে প্রতিবেদন দেবে, তা আগামীতে বিচারকাজ পরিচালনায় সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
জেবি/এসবি
বিজ্ঞাপন








