জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:১৭ পিএম, ২৮শে আগস্ট ২০২৪

রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির নিষিদ্ধে গত আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাহী আদেশের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ আগস্ট) এ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হতে পারে। গত ১ আগস্ট নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করেছিল গত আওয়ামী লীগ সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: এতদিন আপনাদের দাবি-দাওয়া কোথায় ছিল: জামায়াত আমির
নির্বাহী আদেশে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে সংবিধানবিরোধী বলে উল্লেখ করে দলটি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্রশিবির নিষিদ্ধের নির্বাহী আদেশ প্রত্যাহারে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়। বৈধতা ফিরে পেতে আবেদন করে জামায়াত ও শিবির। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন বাতিল করা হলো।
জামায়াতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মনির গণমাধ্যমকে জানান, যুক্তিসহ লিখিত আবেদন করা হয়েছে। জামায়াত ও শিবিরকে বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার জামায়াত ও শিবিরের পৃথক আবেদন পাওয়ার শুনানি হয়েছে। এতে তাদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। তবে কখন, কোথায় এ শুনানি হয়েছে, তা জানা যায়নি। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার মতামত নিয়ে জামায়াত-শিবিরের বৈধতা ফিরিয়ে দেওয়ার ফাইল আজ বুধবার আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর গেজেট প্রকাশিত হবে।
আরও পড়ুন: ভারতের বাঁধ খুলে বাংলাদেশ ডুবিয়ে দেওয়া ক্রিমিনাল অফেন্স: ফখরুল
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার গেল১ আগস্ট ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এর পরই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতন হয়। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে জামায়াত-শিবিরের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন হয়েও ৫ আগস্ট থেকে জামায়াত প্রকাশ্যে তৎপরতা চালাচ্ছে এবং সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৈঠকসহ সব কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৯ ধারা অনুসারে, সরকার কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করলে, এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে যুক্তি উপস্থাপন করে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে। যা শুনানি করে ৯০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করবে সরকার।
জেবি/এসবি
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

একাত্তরের গণহত্যার জন্য পাকিস্তানকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান

জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেফতার

সোমবার রোহিঙ্গা সংলাপের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

যে জরুরি বার্তা জারি করেছে পুলিশের হেডকোয়ার্টার
