বন্যার্তদের ত্রাণ নিয়ে অবিরাম ছুটে চলা নোবিপ্রবির বাস
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪:২৬ অপরাহ্ন, ২৯শে আগস্ট ২০২৪
নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা এবং লক্ষীপুর জেলার বন্যার্ত মানুষদের সাহায্যার্থে ত্রাণসামগ্রী নিয়ে অবিরাম ছুটে যাচ্ছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) নীল-সাদা বাস। বৃহত্তর নোয়াখালীর মানুষের ঘরবাড়ি বন্যায় ভেসে যাওয়ার পর থেকে আশ্রয়হীন মানুষদের জন্য ত্রাণসামগ্রী-অর্থ সংগ্রহ ও পরিবহণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এই বাস। এবং রেসকিউ টিমকে নির্দিষ্ট অঞ্চলে পৌঁছে দিচ্ছে নোবিপ্রবির নীল-সাদা বাসগুলো।
আরও পড়ুন: বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ
এছাড়াও বর্তমানে নোবিপ্রবির অডিটোরিয়ামে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে তিনশত ভানবাসি মানুষ। এদের চিকিৎসা সেবা এবং পানিতে আটকে পড়া গর্ভবতী নারী ও অসুস্থ রোগীদের উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছে নোবিপ্রবির অ্যাম্বুলেন্স।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগীয় ব্যক্তিবর্গ, সকল ক্রিয়াশীল সংগঠন ও বিভিন্ন এসোসিয়েশনের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্যাম্পাসের বাসে করে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে বন্যাকবলিত এলাকায়। এছাড়াও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ত্রাণ প্যাকেটিং করে ক্যাম্পাসের বাসে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ।
পরিবহণ দফতরের এমন সহযোগিতাকে প্রশংসায় ভাসিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, পরিবহন দফতরের এমন সহযোগিতার কারণে বন্যার্তদের সাহায্য করতে আমাদের সুবিধা হচ্ছে। বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোয় বড় অবদান রাখছে নোবিপ্রবির বাস এবং পরিবহণ পুল বাস দিতে কোনো জটিলতা করছে না। বিশেষ করে পরিবহন দফতর, ড্রাইভার এবং হেল্পার মামারা আমাদের ডাকে সারা দিচ্ছেন। নির্দিষ্ট এলাকায় ত্রাণ নেওয়ার পর যতক্ষণ না পর্যন্ত কাজ শেষ হচ্ছে ততক্ষণই তারা সাহায্য করে যাচ্ছেন। অনেক সময় তারাই আমাদের সাহস যুগিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পদত্যাগ করলেন নোবিপ্রবি উপ-উপাচার্য
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন প্রশাসক ড. কাউসার বলেন, নোবিপ্রবি এই অঞ্চলের অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেই দিক বিবেচনায় আমাদেরও দায়বদ্ধতা রয়েছে। বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তাই যেকোনো সময় পরিবহন সুবিধা দিতে পারছি। আমাদের ছাত্র-শিক্ষক সারাক্ষণ বন্যার্তদের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ত্রাণের জন্য সংগ্রহিত টাকা দিয়েই পরিবহনের খরচ বহন করতে হয়। তাই খরচ বাঁচানোর পাশাপাশি যাতে বেশি সংখ্যক বন্যার্তদের সহযোগিতা করতে পারে তাই আমাদের এই সামান্য প্রয়াস।
এসডি/