দেশের সর্ববৃহৎ আলুর বীজ উৎপাদন খামারে আউশ ধানের বীজ উৎপাদন


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫:০৯ অপরাহ্ন, ৪ঠা সেপ্টেম্বর ২০২৪


দেশের সর্ববৃহৎ আলুর  বীজ  উৎপাদন খামারে  আউশ ধানের বীজ উৎপাদন
ছবি: প্রতিনিধি

দেশের সর্ব বৃহৎ আলুর বীজ  উৎপাদন  খামার নীলফামারী জেলা ডোমার উপজেলার সোনারায় ভিত্তি বীজআলু উৎপাদন খামারের উপপরিচালক  কৃষিবিদ আবু তালেব মিঞা  জানান, বীজআলু চাষের  উপযোগী  জমির  মধ্যে  বীজআলু উৎপাদনের পর পরর্বতী  বছর বীজ আলু উৎপাদনে মাটি বাহিত রোগ যথাযথ  ভাবে  নিয়ন্ত্রণ, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, মাটির  পানিধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি, জমি লেভেলিং আগাছা নিয়ন্ত্রণসহ সর্বপরি  জমির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য  চলতি উৎপাদন মৌসুমে ৩শত একর ব্রিধান ৯৮ জাতের আউশ ধানবীজ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে ।


আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বলন


এই উৎপাদন  কর্মসূচিতে মোট বীজ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৩৯০ মে. টন। এই উৎপাদন লক্ষ্যমাত্র অর্জনের মাধ্যমে দেশে  আগামী  মৌসুমে ৩৯ হাজার একর জমি আউশ ধান চাষের আওতায় আনা সম্ভব হবে। যা থেকে  জাতীয় পর্যায়ে প্রায় ৬৫ হাজার মে. টন ধান উৎপাদনে যোগ হবে। আউশ ধানের উল্লেখ  যোগ্য  বিষয় হচ্ছে চারা রোপনের পর থেকে  মাত্র  ৮০ দিনেই ফসল সংগ্রহ করা যায়। অর্থাৎ  ধান থেকে  ধান উৎপাদনে মোট সময় লাগে ১০৩-১০৫ দিন। 

বর্তমানে কৃষক পর্যায়ে রবি মৌসুমে  অন্যতম লাভজনক শস্য  ভুট্টা  চাষ করা হয়। ভুট্টা  চাষের পরে  আমন রোপনের পূর্ব পর্যন্ত  জমি পতিত থাকে।

 

যা আউশ ধান আবাদের মাধ্যমে  ব্যবহার করা যাবে। এসময়  জমি পতিত না রেখে মাত্র ৮০ দিনের  ব্যবধানে আউশ ব্রিধান৯৮ এর চাষ করে প্রতি বিঘায় ১৫-১৭ মন ধান উৎপাদনের পরে স্বপ্লমেয়াদি আমন ধানসহ আলু উৎপাদন  করা সম্ভব। 


ব্রিধান ৯৮ অত্যান্ত স্বপ্লমেয়াদি হওয়ায় কৃষকরা খুব  সহজেই একই জমিতে  তাদের  সুবিধা  মত এবং  কাঙ্খিত বিভিন্ন  ফসল চাষ করে  অধিক ভাবে  লাভবান  হতে  পারবে।

 

অত্র খামারে  বীজআলু উৎপাদনের পর বেশিরভাগ  জমি একবারেই  পতিত পড়ে থাকত পরর্বতীতে ২০২০-২১ উৎপাদন মৌসুমে  ১৮৭ একর. ২০২১-২২ উৎপাদন  মৌসুমে  ২৪০ একর এবং ২০২২-২৩ উৎপাদন মৌসুমে জাতের ২৫৫.০০ একর জমিতে  আউশ ধান বীজ  উৎপাদন  কর্মসূচি ছিল।

 

বর্তমানে  ধানবীজ উৎপাদন  কার্যক্রম শতভাগ যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে  চলমান রয়েছে, রাইস সিডিং মেশিন  দ্বারা  সিডিং ব্যবহার করে  আউশও আমন ধানবীজ বপণ করা হয়েছে। চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পর রাইস ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দ্বারা ৩ শত একর  জমিতে আউশ  রোপণ  করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: নীলফামারীতে ডাকাত দলের ৪ সদস্য গ্রেফতার


পরিশেষে  কম্বইন হার্ভেস্টার দিয়ে  ধান বীজ ফসল সংগ্রহ  করে দানা শস্য  গ্রেডিং মেশিন দ্বারা ধানবীজ যথাযথ ভাবে গ্রেডিং করে  সংরক্ষণ  করা  হচ্ছে। প্রতিইঞ্চি জমিকে উৎপাদনের আওতায়  এনে অত্র খামারটি জাতীয়  ভাবে  গুরুত্বপূর্ণ  ভূমিকা পালন করে  আসছে।


বিশ্বায়নের  চলমান  যুগে  কৃষি  হউক দেশের  অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এরই ধারাবাহিকতায়  নিরলস ভাবে  কাজ করে  যাচ্ছে  বিএডিসির অন্যতম বীজআলু, ডোমার ভিত্তি  বীজআলু উৎপাদন  খামার, সোনারায় নীলফামারী।


এসডি/