হাসিনা সরকার পতনের একমাস, ঢাকা কলেজে শহিদী মার্চ পালন
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪১ অপরাহ্ন, ৫ই সেপ্টেম্বর ২০২৪
ছাত্রজনতার গনঅভ্যূথানের এক মাস পূর্ণ হওয়ায় শহিদদের স্মরণে ‘শহিদী মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের ঢাকা কলেজ শাখা।
আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ প্রধান সমন্বয়ক নাজমুলের বিরুদ্ধে
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় অন্যতম সম্বন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের একমাস পূর্ণ হওয়ায় শহীদদের স্মরণে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ‘শহিদী মার্চ’ পালন করার আহ্বান জানান। তার প্রেক্ষিতে সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় বৃষ্টি বাধার উপেক্ষা করে ঢাকা কলেজের শহিদ মিনারের সামনে থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ‘শহীদী মার্চ’ বের করেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টির কারণে কিছুটা বিলম্ব করে ১২.৪৫ মিনিটে শহিদী মার্চ কর্মসূচি কলেজ ক্যাম্পাস- সাইন্সল্যাব- কলেজ ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়।
শহীদী মার্চে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। ‘আমার ভাই
কবরে, খুনি কেন বাহিরে, ফ্যাসিবাদীর ঠায় নাই, আমার সোনার বাংলায়, শাপলা চত্ত্বরের রক্ত, বৃথা যেতে দিবো না, আওয়ামীলীগের দালালেরা হুশিয়ার সাবধান, আইয়ুব মুজিব হাসিনা, স্বৈরাচার মানিনা’
শহীদী মার্চের শুরুতে কেন্দ্রীয় সম্বন্বয়ক নাজমুল হাসান বলেন, ৫ আগষ্ট ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ছাত্র জনতার গণঅভুত্থানে পালিয়েছে। আমরা চাই বাংলাদেশ আর কোন স্বৈরাচার জন্ম না হোক। আর কোন চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ আর তৈরি না হোক। যাদের হাতে ছাত্র জনতার রক্ত লেগে আছে তাদের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। ফ্যাসিবাদী দোসরদের, অপরাধীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র জনতা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
যেসব ছাত্র শহীদ হয়েছে দেশমাতৃকার জন্য, সুন্দর শিক্ষাঙ্গনের জন্য। যতদিন পর্যন্ত ক্যাম্পাসে র্যাগিংমুক্ত, দখলদারিত্বমুক্ত, গেস্টরুমমুক্ত না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা প্রতিরোধ সংগ্রাম চালিয়ে যাবো। দুষ্কৃতীকারীদের জায়গা এই বাংলায় হবে না। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা কলেজের সম্বন্বয়ক মো.রাকিব হোসাইন বলেন, ছাত্রজনতা হত্যার স্বীকার হয়েছে, হাজার হাজার ভাই-বোন হাসপাতালে কাঁতরাচ্ছে। স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে যারা জীবন দিয়েছে তাদের প্রতি লাল সালাম, আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি। এই অন্তবর্তনকালীন সরকারকে নিয়ে অনেকে ষড়যন্ত্র করছে তাই আমাদেরকে মাঠে থাকতে হবে, যেকোনো সময় প্রতিবিপ্লব হতে পারে। আওয়ামী সন্ত্রাসবাহিনী কখনও আনসার, রিকসাচালক হয়ে ফিরে আসছে। তাদের বলতে চাই, দেশের মানুষ যা চাই তা না চান তাহলে বিশৃঙ্খলা করতে চান তাহলে তাদেরকে চিন্হিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। আর সবাইকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে, সহযোগিতা করতে হবে।
আরও পড়ুন: গেস্ট-গণরুম মুক্ত হল চায় ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীরা
অন্তবর্তনকালীন সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে, রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। গতকয়েকদিন আমরা দেখেছি যখন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল তখন ছাত্ররদের উপর কি নির্মম হত্যাকান্ড চালিয়েছে এগুলো আমাদের কষ্ট দেয়। পরিশেষে বলতে চাই আমরা যে উদ্দেশ্যে স্বৈরাচার হটিয়েছি সেটা সকলে মিলে সফল করতে হবে।
এসডি/