মমেক অধ্যক্ষসহ ৭ জনের পদত্যাগ


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৪


মমেক অধ্যক্ষসহ ৭ জনের পদত্যাগ
ছবি: প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষসহ ৭ জন পদত্যাগ করেছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তারা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। 

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম।


আরও পড়ুড়ন: ময়মনসিংহে উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা


পদত্যাগ করা ব্যক্তিরা হলেন- কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল কাদের, উপাধ্যক্ষ ডা. তারেকুল ইসলাম, অর্থোপেডিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম, নিউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ওয়াহিদুর রহমান ছোটন, মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাজিয়া হক, ছাত্রদের হোস্টেল সুপার ডা. আব্দুস সাত্তার ভূইয়া এবং ছাত্রীদের হোস্টেলের সহকারী হোস্টেল সুপার ডা. রুবিনা ইয়াসমিন।


এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো স্যারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়নি। সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্রে সই করেছেন।


এতে কলেজের স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়েছে কিনা জানতে চাইলে সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কলেজের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাস করছে। তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দ্রুত নতুন অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগ করলে সব কার্যক্রম আরও ভালোভাবে চলবে।


তিনি আরও বলেন, নতুন অধ্যক্ষ এসে হোস্টেল সুপারসহ খালি থাকা পদগুলোতে অন্যদেরকে দায়িত্ব দিবে।


কলেজ সূত্র জানায়, অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল কাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০২২ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। এরপর রিটায়ার্ড করলে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ২ বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। গত ২২ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন তিনি।


ডা. তারেকুল ইসলামও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। অধ্যক্ষের পদত্যাগের পর গত ২৪ আগস্ট তিনিও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত একে একে পদত্যাগ করেন ডা. সাইফুল ইসলাম, ডা. ওয়াহিদুর রহমান ছোটন, ডা. নাজিয়া হক, ডা. আব্দুস সাত্তার ভূইয়া ও ডা. রুবিনা ইয়াসমিন।


আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে ৫০০ টাকার জন্য ছেলের হাতে বাবা খুন!


পদত্যাগের বিষয়ে জানতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. আব্দুল কাদেরের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।


তবে উপাধ্যক্ষ ডা. তারেকুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গাসহ প্রতিষ্ঠানে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমাকে কেউ পদত্যাগ করতে বলেনি। তবে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতেও পারে এমন আশংকা করে পদত্যাগ করেছি।


এসডি/