মমেক হাসপাতালের ১১ ইন্টার্ন চিকিৎসক বহিষ্কার, হোস্টেলে নিষিদ্ধ দুই জন
জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২:০৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানের ডিসিপ্লিনারি কমিটি। এতে অভিযুক্তদের আজীবন হোস্টেলে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি বিভিন্ন মেয়াদে ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হাসপাতালের পরিচালক ও ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
আদেশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান গ্রহণ, আন্দোলন বানচালের উদ্দেশ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের হুমকি প্রদান, ভয়ভীতি প্রদর্শন, বিগত স্বৈরাচারী সরকারের অপরাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ, সাধারণ শিক্ষার্থী ও চিকিৎসকদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ক্যাম্পাস ও তৎসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, হোস্টেলে মাদক বাণিজ্য ও মাদক সেবনসহ ইত্যাদি অপরাধে হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির এক জরুরি সভা শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে কিশোর হত্যাকারী ইমন গ্রেফতার
এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে অভিযুক্ত এই ১৩ ইন্টার্ন চিকিৎসকের প্রশিক্ষণ স্থগিত করে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে এবং স্বশরীরে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়।
এর মধ্যে অভিযুক্ত ১৩ জনকে আজীবনের জন্য হোস্টেলে নিষিদ্ধ করাসহ ডা. প্রতীক বিশ্বাস, আবু সালেহ মো. লতিফুল কবির কৌশিক, সুনীতি কুমার দাস এবং ফায়াদুর রহমান আকাশকে দুই বছরের জন্য, শামীম রেজা, নাইমুর রশীদ, মেহেদী হাসান রোমান, আবু তাহের বিপ্লব রুবেল, কামরুল হাসান ও আবু রায়হানকে এক বছরের জন্য এবং সাখাওয়াত হোসেন সিফাত নামের এক জনকে ছয় মাসের জন্য ইন্টার্নশিপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে ডা. অর্নব কুন্ড এবং কাশফি তাবরিজকে হোস্টেলে আজীবন নিষিদ্ধ করা হলেও তাদের ইন্টার্নশিপের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. জাকিউল ইসলাম। শিক্ষার্থী সূত্র জানায়, যারা অভিযুক্ত ছিল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা সবাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতাকর্মী ও সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে মাদক সম্পৃক্ত, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ঘে নিহত ৭
আরও জানা যায়, এই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চলতো অমানুষিক অত্যাচার নির্যাতন। তাদের অত্যাচারে তারা লেখাপড়া করতে পারত না।
উল্লেখ্য,ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের উৎসাহকারীরা এখনো বহাল রয়েছে। তাদেরকে যদি সরানো না হয় যে কোন বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। কলেজের প্রতিটি ডিপার্টমেন্টে বিভাগীয় প্রধান রয়েছে শেখ হাসিনার আস্থাভাজন।
জেবি/এসবি