Logo

ডিসি পদ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল: শাস্তি পাচ্ছেন যে ১৭ জন

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
২ অক্টোবর, ২০২৪, ২২:০৮
44Shares
ডিসি পদ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোল: শাস্তি পাচ্ছেন যে ১৭ জন
ছবি: সংগৃহীত

আন্দোলন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে, এটা কেউ ভালোভাবে নেয়নি।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদ নিয়ে সচিবালয়ে হট্টগোলের ঘটনায় ১৭ জন কর্মকর্তাকে (উপসচিব) শাস্তি দেয়ার সুপারিশ করেছে এ ঘটনায় গঠিত কমিটি।

এর মধ্যে নুরজাহান খানম, মো. নুরুল করিম ভূঁইয়া, মো. জসিম উদ্দিন, রেবেকা খান, মো. সাইফুল হাসান, মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন, নুরুল হাফিজ এবং মোতাকাব্বীর আহমেদকে গুরুদণ্ড দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। হাসান হাবীব, মো. আ. কুদদূস, আব্দুল মালেক, মোহাম্মদ নজরুল ইসলামকে লঘুদণ্ড এবং মো. সগীর হোসেন, মো. মুনিরুজ্জামান, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. হেমায়েত উদ্দীন, মো. তোফায়েল হোসেনকে শাস্তি হিসেবে ‘তিরস্কার’ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি আট জনকে গুরুদণ্ড, চার জনকে লঘুদণ্ড ও পাঁচ জনকে তিরস্কারের শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুই দিনে দেশের ৫৯ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের এসব কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

এদিন দুপুরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কে এম আলী আযম ও জিয়াউদ্দিনের কক্ষে হট্টগোল করেন তারা। বিকেল ৩টায় বঞ্চিত দাবি করা কর্মকর্তারা এ দুই যুগ্ম সচিবের কক্ষ অবরুদ্ধ করে রাখেন। কর্মকর্তাদের রোষ থেকে নিজেকে বাঁচাতে যুগ্মসচিব আলী আযম পাশের রুমের টয়লেটে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। প্রায় ২ ঘণ্টা পর সিনিয়র কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে তাকে বের করে আনেন।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় সমালোচনার মুখে তদন্ত কমিটি গঠন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, গত ১০ সেপ্টেম্বর আমাদের মন্ত্রণালয়ে একটি আনরেস্ট (অসন্তোষ) হয়েছিল। সেটার জন্য এক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এটার প্রধান ছিলেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ। তার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা থেকেও প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, সাক্ষী-প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিজ্ঞাপন

সিনিয়র সচিব বলেন, ১৭ জনকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। তিনটি পর্যায়ে তিনি সাজেস্ট করেছেন কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। আটজনের বিষয় বলা হয়েছে, তদন্তসাপেক্ষে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করে গুরুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। চারজনের বিষয় বলা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে বিধিবিধান অনুযায়ী লঘুদণ্ড দেওয়া যেতে পারে। আর পাঁচজনের ব্যাপারে বলা হয়েছে, তাদের শাস্তি তিরস্কার দেওয়া যেতে পারে। তাদের সাবধান করা, যাতে ভবিষ্যতে এটা না করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা যখন এ বিষয়গুলো ফেস করেন তখন অনেকগুলো স্টেজ আছে, সেগুলো সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। একটা পর্যায়ে দেখা যায় অনেকের সংশ্লিষ্টতা ছিল, আবার অনেকের ছিল না। আবার অনেক সময় দেখা যায় নিঃস্বার্থ ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। এরকম হয়ে গেলে অনেক সময় আমরা সেগুলো দেখি। এখন এ বিষয়গুলো প্রসেস করা হবে। কারণ জাতি, মানুষ জানতে চায়। আমি ডিসি হতে পারিনি, সেজন্য এরকম একটা আন্দোলন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে, এটা কেউ ভালোভাবে নেয়নি।

বিজ্ঞাপন

ড. মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, আমাদের সিনিয়র কলিগরা নেয়নি, কলিগরা নেয়নি, আমাদের জুনিয়র কলিগরা নেয়নি সর্বোপরি আপনারা নেননি এবং সত্যি কথা বলতে কি, জনগণ ভালোভাবে নেয়নি। অনেকে বলছে এগুলো যদি কঠোর হস্তে দমন না করেন, ব্যবস্থা না নেন, আমাদের প্রশাসন ভেঙে পড়বে, শৃঙ্খলা থাকবে না। প্রশাসনের একটি বড় দিক হলো শৃঙ্খলা। শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় যা যা করার... আমিও আইনের ঊর্ধ্বে না, আপনারাও আইনের ঊর্ধ্বে নন, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

আরএক্স/

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD