আমরা শুনতে চাই না বিচারকের আসনে বসে কেউ ঘুস খায়: জামায়াতের আমীর


Janobani

জেলা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৩:১০ অপরাহ্ন, ১৫ই অক্টোবর ২০২৪


আমরা শুনতে চাই না বিচারকের আসনে বসে কেউ ঘুস খায়: জামায়াতের আমীর
ছবি: প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন একটি সমাজ গঠন করতে চাই যেখানে বিচার প্রার্থীকে বিভিন্ন ধরনের হয়রানি শিকার হতে হবে না। কোন বিচারক তার আসনে বসে আল্লাহকে ছাড়া কোন রাষ্ট্রশক্তিকে পরোয়া করবে না। রাষ্ট্রের আইন এবং বিবেক শক্তি দিয়ে বিচার কাজ পরিচালনা করবে। আমরা শুনতে চাই না বিচারকের আসনে বসে বিচারকরা ঘুস খায়।


মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ট্যাংকেরপাড় পৌর মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন-বিক্ষোভ


এসময় ডা. শফিকুর রহমান বলেন,  মিডিয়া বের করে নিয়ে আসে উনি অমুক জেলার ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, তার ৫টি গাড়ি রয়েছে, ১০টি বাড়ি রয়েছে। এসব কলঙ্কজনক কথা বিচারকদের ব্যাপারে শুনতে চাই না। আমরা এমন একটি বিচার ব্যবস্থা চাই, যে বিচার ব্যবস্থা উঁচু নিচু কাউকে ভাববে না। বিচার প্রার্থীকে বিচার প্রার্থী হিসেবে দেখবে। কোন বিচার প্রার্থী যদি মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আদালতে হাজির হয়, তাহলে মিথ্যার অভিযোগের দন্ডও তাকে পেতে হবে। আবার যদি কেউ সঠিক অভিযোগ নিয়ে আসে তাহলে ন্যায় বিচার থেকে যেন বঞ্চিত না হয়।


তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য ১০টি দেশ যেমন মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে বিশ্বের বুকে দাঁড়ায়, বাংলাদেশও ইনশাআল্লাহ তার শির উঁচু করে দাঁড়াবে। বিদেশে আমাদের বন্ধু থাকবে কিন্তু কোন প্রভু আমরা মেনে নেব না। কেউ আমাদের সাথে প্রভুত্ব দেখাতে আসলে জাতির কাছে তার সঠিক জবাব বুঝিয়ে দেবেন।


জামায়াতের আমীর বলেন, আমরা এমন জাতি গড়তে চাই যেখানে ৫ তলা এবং ১০ তলার মধ্যে কোন ব্যবধান থাকবে না। কেউ ১০ তলায় থাকলে আমার কোন আপত্তি নাই, তবে কেউ ফুটপাতে ঘুমালে তা মেনে নেওয়া হবে না। বিগত সরকারের সময় আশ্রয়নের ঘর বানানোর আগেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। এসব ছিল জনগণের সাথে ধোকা।


তিনি বর্তমান সরকারের প্রতি দাবি জানিয়ে বলেন, হাজার প্রাণ বিনিময়ে এবং হাজার হাজার মানুষের পঙ্গুত্ব ও আহত হওয়ার মধ্য দিয়ে এই বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে। সেসব শহীদ পরিবারের প্রতি আপনারা সম্মান প্রদর্শন করুন। পাঠ্যপুস্তকে তাদেরকে যথাযথ ভাবে ফুটিয়ে তুলার ব্যবস্থা করুন। ইতিহাস সঠিক ভাবে তুলে ধরুন। প্রত্যকটি শহীদ পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে সরকারি চাকরি দিন। প্রত্যকটি আহতকে তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দিতে হবে। তারা এসব নিয়োগের জন্যে ত্যাগ স্বীকার করেননি। কিন্তু তাদের প্রতি সম্মান দেখানো আমাদের কর্তব্য। এরা সরকারি চাকরিতে গেলে দেশের জন্যে জানপ্রাণ দিয়ে চাকরি করবে।


আরও পড়ুন:  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১ পরিবার পেল পৌনে ৬ লাখ টাকা


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মোহাম্মদ গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ.টি. এম মাসুম। জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ মুবারক হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে সূরা সদস্য ও কুমিল্লা নোয়াখালী অঞ্চল অঞ্চল টিম সদস্য মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাবেক আমীর কাজী নজরুল ইসলাম খাদেম, সৈয়দ গোলাম সারোয়ার, সাবেক নায়েবে আমীর কাজী মো. ইয়াকুব আলী, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি মো. আতিকুল ইসলাম প্রমুখ।


আরএক্স/