পুনর্বাসনের ছক কষছে আওয়ামী লীগ: সমন্বয়ক হাসনাত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য আমাদের যে সংগ্রাম তা জারি থাকবে।”
বিজ্ঞাপন
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের পুনর্বাসনে ছক কষছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিওবার্তায় এমন দাবি করেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ভিডিওবার্তায় হাসনাত বলেন, “আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন, রাষ্ট্রপতি কিছুক্ষণ আগে বিবৃতি দিয়েছেন যে, খুনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে পালিয়েছে, তার কাছে কোনো পদত্যাগপত্র জমা দেয়নি। আমরা গতকাল দেখেছি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনর্বাসনের জন্য ছাত্রলীগ বিভিন্ন ধরনের পাঁয়তারা করছে। ঢাকায় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের পতিত আত্মারা জড়ো হওয়ার পাঁয়তারা করছে। প্রতিটি ঘটনাকে একত্রিত করলে বোঝা যায় ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্বাসিত করা জন্য তারা চেষ্টা করছে।”
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, “৫ আগস্টের আগে আমরা একটি পরিচয়ে সবাই একত্রিত হয়েছিলাম। আওয়ামী নির্যাতনে বিরুদ্ধে আমাদের সবার পরিচয় ছিল, আমরা সবাই মজলুম। আওয়ামী লীগ ছিল জালিম। এই জালিমের বিরুদ্ধে আমরা মজলুম হিসেবে দাঁড়িয়েছিলাম।”
বিজ্ঞাপন
হাসনাত বলেন, “কিন্তু ৫ আগস্টের পর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বার্থের কারণে আমরা পৃথক হয়ে গিয়েছি। এর ফলে যে গ্যাপ তৈরি হয়েছে, সেই সুযোগে আওয়ামী লীগ তার পুনর্বাসনের ছক কষছে।”
বিজ্ঞাপন
আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে এ সমন্বয় বলেন, “আমরা দেখছি প্রশাসনিক ও বিচারিকভাবে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। এ চেষ্টা রুখে দিতে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগকে বাংলার মাটি থেকে উৎখাতে সকাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে মাঠে আমাদের অবস্থান জারি রাখতে হবে।”
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করার জন্য যত ধরনের পদক্ষেপ নেয়া দরকার, আমরা সামষ্টিকভাবে তা নেব। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার জন্য আমাদের যে সংগ্রাম তা জারি থাকবে।”
বিজ্ঞাপন
এছাড়া শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই–রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্যের পর একটি পোস্ট দেন হাসনাত।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, “হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে; একটি অবৈধ সরকারকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই।”
বিজ্ঞাপন
জেবি/এসবি








