বর্তমান বাস্তবতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা সম্ভব নয়: আসিফ নজরুল


Janobani

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:২৪ অপরাহ্ন, ২৯শে অক্টোবর ২০২৪


বর্তমান বাস্তবতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা সম্ভব নয়: আসিফ নজরুল
ছবি: সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, বর্তমান বাস্তবতায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, যে ফ্যাসিস্টদের হাতে হাজার হাজার তরুণ নিহত হয়েছে, তাদের বিচারকে সামনে রেখে হঠাৎ করে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার প্রশ্নই আসে না।


মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্কের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।


আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থান ভালো: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা


আসিফ নজরুল বলেন, আজ জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এসেছিলেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের বিধান রহিত করা যায় কি না, সে বিষয়ে তার সঙ্গে আলাপ হয়েছে।


মৃত্যুদণ্ড প্রসঙ্গে ফলকার তুর্ককে আইন উপদেষ্টা বলেন, আমাদের পেনাল সিস্টেম ও শত বছরের জাস্টিস সিস্টেমে মৃত্যুদণ্ডের বিধান বলবৎ রয়েছে। যে ফ্যাসিস্টদের হাতে হাজার হাজার তরুণ নিহত হয়েছে, তাদের হত্যার বিচারকে সামনে রেখে হঠাৎ করে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার প্রশ্নই আসে না। তাছাড়া যেকোন বড় ধরনের আইনগত পরিবর্তন সমাজ আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে মিল রেখে করতে হয়।


তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে বিচারকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য করার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন আইনগত সংস্কারে জড়িত রয়েছে। এছাড়া ফরেনসিক সাপোর্ট, টেকনিক্যাল সাপোর্ট বা ক্যাপাসিটি বিল্ডিংয়েও সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।


ফলকার তুর্ককে আশ্বস্ত করে আইন উপদেষ্টা বলেছেন, এই ট্রাইব্যুনালে সুবিচার করা হবে। প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা থেকে এটা করা হচ্ছে না। অবিচার করার জন্য আগের আদালতে যেরকম হয়েছে, সেরকম অবিচার করা হবে না। এখানে কোন কিছু লুকানোর নেই। যে কেউ এসে এই বিচার দেখতে পারবেন।


আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটির প্রধান হলেন বিচারপতি জুবায়ের


আসিফ নজরুল বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কাজ বিশেষ করে সংস্কার কাজ, ট্রানজিশনাল ট্রান্সফরমেশন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তবর্তী সরকারের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের প্রতি সন্তষ প্রকাশ করেছেন।


তার পক্ষ থেকে দুটি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন, যার মধ্যে একটি বিচার বিভাগ স্বাধীন করা। এ বিষয়ে তাকে বলেছি আমরা এ প্রসঙ্গে অবশ্যই কমিটেড। প্রধান বিচারপতি ইতোমধ্যে একটি পৃথক বিচার বিভাগীয় সচিবালয় প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা অবশ্যই এটি নীতিগতভাবে গ্রহণ করি।


আইন উপদেষ্টা বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালত নিয়ে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কী কী সংস্কার ভাবনা রয়েছে, সেটা হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে। তিনি এসব বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।


এমএল/