ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখোনই সফল হবে না: তারেক রহমান
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০৩ অপরাহ্ন, ২৬শে নভেম্বর ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘পতিত আওয়ামী সরকারের বিগত ১৬ বছরের দূর্বিষহ শাসনামলে মানুষের সকল অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করা হয়েছিল। দেশের মানুষ তাদের সকল অধিকার হারিয়ে ফেলেছিল। জনগণের কাছ থেকে দেশের মালিকানা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা নতুনভাবে স্বাধীনতা পেলেও এখনো আমাদের দেশমাতৃকার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত থেমে নেই। তবে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হবে না বলেও জানান তিনি।’
৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অকুতোভয় সৈনিক শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং রুহের মাগফিরাত কামনা করে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘খেলা হবে’ মানসিকতার পরিবর্তন হয় নাই: ববি হাজ্জাজ
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নির্ভীক শহীদ ডা. মিলনের আত্মদানে হারানো গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত হয়। তার আত্মদানের মধ্যদিয়ে ৯ বছরের স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গণতান্ত্রিক সংগ্রাম চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে ধাবিত হয়। স্বৈরাচারকে উৎখাত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ছিল তার দৃঢ় অঙ্গীকার। বুকের রক্তের বিনিময়ে তিনি গণতন্ত্রকে বিজয়ী করেছিলেন। যে পথ বেয়ে দেশে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠিত হয়। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রার শুরু হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সবসময় আমাদেরকে প্রেরণা জোগাবে। আজকের এই দিনে আমি ডা. মিলনসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা বিনম্র জানাই।’
পৃথক এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলন ৮০-এর দশকে স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একটি অবিস্মরণীয় নাম। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে ডা. মিলনের আত্মদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে গিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন তিনি। সকল কর্তৃত্ববাদী, স্বৈরাচারী গণতন্ত্র বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে ডা. মিলন আমাদের প্রেরণার উৎস।
আরও পড়ুন: সংবিধান সংস্কার কমিশনের কাছে বিএনপির ৬২ প্রস্তাব
তারেক জিয়া বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের বিগত ১৬ বছরের ভয়াবহ দু:শাসনে গণতন্ত্রসহ মানুষের ভোট, বাক-ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বলতে কিছুই ছিল না। বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা ছিল বর্ণনাতীত। ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে দেশের মানুষ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও ঘাপটি মেরে বসে আছে, তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
তারেক জিয়া আরও বলেন, দেশের জনগণ এখন ঐক্যবদ্ধ, তাই ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফলকাম হতে পারবে না। শহীদ ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সবসময় আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করবে। গণতন্ত্রকে মজবুত ভীতের ওপর দাঁড় করাতে পারলেই ডা. মিলনের আত্মত্যাগ সার্থক হবে। তার শাহাদৎবার্ষিকীতে আমি তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি।
এমএল/