Logo

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আগের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে

profile picture
জনবাণী ডেস্ক
৩০ নভেম্বর, ২০২৪, ০৩:২৫
31Shares
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা আগের তুলনায় বেশি নিরাপত্তা পাচ্ছে
ছবি: সংগৃহীত

সংবাদমাধ্যমটির করা এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে

বিজ্ঞাপন

বিগত শেখ হাসিনা সরকারের চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিতে পারছে বলে মনে করছেন বাংলাদেশের ৬৪ শতাংশ মানুষ।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ভয়েস অব আমেরিকা বাংলা। সংবাদমাধ্যমটির করা এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

জরিপ থেকে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে পরিচালিত এই জরিপে ৬৪ দশমিক ১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের তুলনায় অন্তর্বর্তী সরকার ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে। মাত্র ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের জন্য আগের চেয়ে খারাপ নিরাপত্তা দিচ্ছে। ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন পরিস্থিতি আগের মতোই আছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের জনতত্ত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিপের জন্য এক হাজার উত্তরদাতা বাছাই করা হয়। যাদেরকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলের সঙ্গে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনের তুলনা করতে বলা হয়।

বিজ্ঞাপন

উত্তরদাতাদের মধ্যে মধ্যে ৯২ দশমিক ৭ শতাংশ মুসলিম। উত্তরদাতাদের মধ্যে অর্ধেকের একটু বেশির বয়স ৩৪ বছর বয়সের নিচে। উত্তরদাতাদের প্রায় এক-চতুর্থাংশ শহুরে মানুষ।

বিজ্ঞাপন

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে যে প্রতিশোধপ্রবণতা দেখা যায় তার বড় এক ধাক্কা গিয়ে পড়ে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বী বা হিন্দুদের ওপর। দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের মানবাধিকারকর্মী নূর খান বলেন, আমরা দেখেছি, সংখ্যালঘুদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে তাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। আবার শুধু সংখ্যালঘু হওয়ার কারণেও তাদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। পঞ্চগড়ে আহমদিয়াদের আবাসস্থলে আক্রমণ হয়েছে, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে সংখ্যালঘুরা যে বরাবরই ঝুঁকির মধ্যে থাকে, সেদিকে ইঙ্গিত করেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, কোনো সরকার তাদের (সংখ্যালঘু) অধিকার রক্ষার জন্য খুব একটা কিছু করে না।

তবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর প্রশাসন, বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসেন সংখ্যালঘুদের উপাসনাস্থল পাহারা দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের একজন সদস্য নূর খান। সংবাদমাধ্যমটিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ আমরা লক্ষ করেছি, সাধারণ মানুষের তরফ থেকে, রাজনৈতিক দলের তরফ থেকে এবং ধর্মীয় গোষ্ঠীর তরফ থেকে। এর ফলে দেখা গেছে, পরবর্তী এক মাসের মধ্যেই অবস্থার উন্নতি হয়েছে।’

এমএল/ 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD