আমেরিকার সভায় ভার্চুয়াল বক্তৃতা দিলেন হাসিনা
ইউনূসের পরিকল্পনাতেই বাংলাদেশে গণহত্যা, আমেরিকার সভায় শেখ হাসিনা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫:২৭ অপরাহ্ন, ৪ঠা ডিসেম্বর ২০২৪
ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখান থেকে একের পর এক বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন। কথা বলছেন দেশে থাকা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে। পালিয়ে যাওয়ার পর তার বেশ কিছু কল রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে। এবার সকল কিছু অতিক্রম করে নিউ ইয়র্কে আয়োজিত একটি সভায় ভার্চুয়াল বক্তৃতা করেছেন তিনি।
নিউ ইয়র্কে আয়োজিত সভায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী, ধর্মস্থান এবং ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের উপর হামলারও নিন্দা করেছেন শেখ হাসিনা। তাঁর অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকারের মদতেই চলছে হিংসা।
আরও পড়ুন: আগরতলার বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে সেবা বন্ধ ঘোষণা
ভারতের সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের মাটি থেকে আমেরিকায় আয়োজিত এক আলোচনাসভায় ভার্চুয়াল বক্তৃতা দেন শেখ হাসিনা। সেখানে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক কথিত সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে ড.মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে দুষেছেন তিনি। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, ‘‘ড.ইউনূসের পরিকল্পনাতে গণহত্যা চলছে বাংলাদেশে।’’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আজ আমার বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে মুহাম্মদ ইউনূসই ছাত্র সমন্বয়কদের নিয়ে একটি সুনিপুণ পরিকল্পনার মাধ্যমে গণহত্যায় লিপ্ত হয়েছেন। তাঁরাই মাস্টারমাইন্ড।এমনকি, তারেক রহমান লন্ডন থেকে বলেছেন যে, যদি মৃত্যু চলতেই থাকে, তা হলে সরকার টিকে থাকবে না।’’
আরও পড়ুন: কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়ে যেতে বললেন ট্রাম্প
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে তৈরি হওয়া জনবিক্ষোভের জেরে গত ৫ অগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায় শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতেই অবস্থান করছেন।
এদিন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ঢাকা ছেড়ে দিল্লি যাওয়ার কারণও ব্যাখ্যা করেন, তিনি বলেন, ‘‘আমি গণহত্যা চাইনি। আমি যদি ক্ষমতায় আঁকড়ে থাকতে চাইতাম, তা হলে গণহত্যা হত। যখন নির্বিচারে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে, তখন আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে আমার চলে যাওয়া উচিত। আমাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। আমার নিরাপত্তারক্ষীরা তা ঠেকাতে যদি গুলি চালাতেন তবে গণভবনে বহু মানুষের মৃত্যু হত। আমি তা চাইনি।’’
তবে ভারতে বসে একের পর এক বিবৃতি আর এই ধরনের ভার্চুয়াল বক্তৃতা কিভাবে দিতে পারেন শেখ হাসিনা তা ভাবার বিষয়। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যখন কোনো ব্যক্তি একটি দেশে কূটনৈতিক আশ্রয় নিয়ে থাকে তখন তিনি বিবৃতি দিতে পারেন না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই নিয়মের উলঙ্ঘন করেছেন।
আরএক্স/