পোল্যান্ডের নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে গ্রিসে বাংলাদেশি যুবকের যাবজ্জীবন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭:০৮ অপরাহ্ন, ৭ই ডিসেম্বর ২০২৪
পোল্যান্ডের নাগরিক আনাস্তাসিয়াকে (২৭) অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার অপরাধে বাংলাদেশি যুবক সালাহউদ্দিনকে (৩৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন গ্রিসের একটি আদালত।
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) ঘোষিত এই রায় গ্রিসের সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রিসের কস দ্বীপে সংঘটিত এ ঘটনার মামলাটি সাম্প্রতিক দশকগুলোর অন্যতম নৃশংস অপরাধ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে গ্রিক সংবাদমাধ্যমে।
গত বছরের জুন মাসে গ্রিসের কস দ্বীপে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হন পোলিশ তরুণী। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রবাসী বাংলাদেশি যুবক সালাহউদ্দিনকে (৩৩) গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি রোগীর অভাবে ভারতে চিকিৎসা ব্যবসায় ধ্বস
তদন্ত শেষে সোমবার (২ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার শুনানি শুরু হয়। মামলার কৌঁসুলি সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে অপহরণ, ধর্ষণ এবং হত্যার অভিযোগ আনেন। শুনানি শেষে শুক্রবার আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
কস দ্বীপের একটি হোটেলে কাজ করতেন আনাস্তাসিয়া। ২০২৩ সালের ১২ জুন কাজ শেষ হওয়ার পর নিখোঁজ হন তিনি। নিখোঁজ হওয়ার পরের দিন তার ছেলে বন্ধু যিনি একই হোটেলে কাজ করতেন বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন। ঘটনার ছয়দিন পর আনাস্তাসিয়ার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: সামরিক আইন জারির জন্য ক্ষমা চাইলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট
একটি সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, আনাস্তাসিয়া দক্ষিণ এশীয় কিছু কর্মীর সঙ্গে কেনাকাটা ও আড্ডা দিচ্ছেন, যাদের মধ্যে সালাহউদ্দিনও ছিলেন। পরে আনাস্তাসিয়াকে সালাহউদ্দিনের স্কুটারে চড়ে তার বাসায় যেতে দেখা যায়। এই ভিডিওতেই আনাস্তাসিয়াকে শেষবার জীবিত অবস্থায় দেখা যায়।
এই মামলার তদন্তকারী ডেভিড বুরজাকি জানান, ‘সালাহউদ্দিন ইতালি যাওয়ার জন্য একটি বিমানের টিকিট কিনেছিলেন এবং দ্বীপ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (সালাহউদ্দিন) গুগলে টাইপ করেছিলেন, ‘মৃতদেহ কীভাবে লুকানো যায়, আঙুলের ছাপ কীভাবে মোছা যায় এবং তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার উপায়।
এমএল/