শহীদ মিনারে আড়াই লাখ মানুষ জমায়েতের পরিকল্পনা ছাত্রদের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৪২ অপরাহ্ন, ৩০শে ডিসেম্বর ২০২৪

আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর), কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ‘ঘোষণাপত্র’ উপলক্ষে অন্তত দেড় লাখ থেকে আড়াই লাখ মানুষের জমায়েতের পরিকল্পনা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বিষয়টি জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) হেডকোয়ার্টারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: জিমি কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু: ড. ইউনূস
জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে সব রাজনৈতিক দল এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানাবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে নতুন স্বপ্ন দেখবে বাংলাদেশ। আগামীর বাংলাদেশে যে সরকারই আসবে, এই ঘোষণাপত্র সীমারেখা হয়ে কাজ করবে। এর মধ্যদিয়ে বস্তাপচা রাজনীতির অবসান হবে।
নতুন বছর উদযাপন ও জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের অনুষ্ঠান ঘিরে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ ঘিরে অন্তত ৫০০ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে।
আরও পড়ুন: তারুণ্যের উৎসবের উদ্বোধনী খামে স্বাক্ষর করলেন ড. ইউনূস
প্রসঙ্গত, গত জুলাই-আগস্টে সংগঠিত ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখতে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। গত শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে এই বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল আলোচনা চলছে। যদিও এই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলে ইতোমধ্যে স্পষ্ট করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন মিশ্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।
জানা গেছে, পার্লামেন্ট বিলুপ্তি ছাড়াও ’৭২ এর সংবিধান সংস্কার বা বাতিলসহ জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের খসড়ায় বলা আছে, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির জন্য ১৯৪৭ সাল যুদ্ধ করেছে, যেহেতু পাকিস্তান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে, যেহেতু ১৯৭২ এর সংবিধান আমাদের জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারেনি, যেহেতু মার্শাল ল’ এবং সাংবিধানিক সংশোধনীসমূহ ক্রমান্বয়ে রাষ্ট্রকে দুর্বলতম করেছে। এই উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই কারণে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা হচ্ছে। যা ৫ আগস্ট, ২০২৪ থেকে কার্যকর হবে।
এমএল/
বিজ্ঞাপন
পাঠকপ্রিয়
আরও পড়ুন

সমুদ্র ও নাব্য জলপথের হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ ও চার্ট প্রণয়ন নিশ্চিত করা হবে: নৌপরিবহন উপদেষ্টা

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে বিশ্বব্যাংকের ৫০ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন

সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: নির্বাচন কমিশনার

নির্ভুল মানচিত্রায়নের মাধ্যমে টেকসই সমুদ্রনীতি গড়ে তুলতে হবে
